ইতালির মার্সেল জ্যাকবসই নতুন ‘হোসাইন বোল্ড’

অলিম্পিক আসরের অন্যতম আকর্ষর্ণীয় ইভেন্ট হলো ১০০ মিটার দৌড়। মাত্র ১০ সেকেন্ডের প্রতিযোগিতা, কিন্তু এটা নিয়ে বিশ্ববাসীর আগ্রহের শেষ নেই। গত তিনটি অলিম্পিক গেমসে এই ইভেন্টে সেরা হওয়ার খেতাবটি উসাইন বোল্ট ছাড়া অন্য কেউ পাননি। এবারের টোকিও অলিম্পিকে নেই তিনি। রিওতেই জানিয়েছিলেন অলিম্পিকে আর দেখা যাবে না তার দৌড়।

সবার অপেক্ষা ছিল কে দখল করবেন তার ছেড়ে যাওয়া আসন। হবেন অলিম্পিকের দ্রুততম মানব। অবশেষে মিলল তার উত্তর। অলিম্পিকের দ্রুততম মানব হয়েছেন ইতালিয়ান অ্যাথলেট লেমন্ত মার্সেল জ্যাকবস। ৯.৮০ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়েছেন তিনি। এটা তার ক্যারিয়ারের সেরা গতি।

অবশ্য বোল্টের বিশ্বরেকর্ডের ধারেকাছেও যেতে পারেননি জ্যাকবস। ২০০৯ সালে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ৯.৫৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ছিলেন তিনি। এরপর ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে ৯.৬৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে অলিম্পিকের রেকর্ড গড়েছিলেন উসাইন বোল্ট।

তবে গত অলিম্পিকে বোল্ট ৯.৮১ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছিলেন। তার চেয়ে ০.১ সেকেন্ড কম সময় নিয়েছেন মার্সেল জ্যাকবস।

৯.৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই ইভেন্টের রুপা জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রেড কারলি।  ৯.৮৯ সেকেন্ড দৌড়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন আন্দ্রে দি গ্রাস। নিজেদের ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে তারা সবাই দৌড়েছেন আজকেই

তবে, ফেভারিটের তালিকায় কখনোই ছিলেন না জ্যাকবস। যদিও সেমিফাইনালে নিজের হিটে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের রেকর্ড ভেঙেছিলেন তিনি। তবুও তাকে ফেভারিটের তালিকায় না রাখার বড় কারণ অলিম্পিকে ১০০ মিটারে ইতালির সাফল্য খরা। ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকে সর্বশেষ ব্রোঞ্জ জিতেছিল তারা।

অলিম্পিকে সোনা জয়ের পর জ্যাকবস বলেছেন, ‘অলিম্পিকে পদক জেতা এটা আমার ছোট বেলার স্বপ্ন ছিল। অবশ্যই স্বপ্ন ভিন্ন কিছুতে বদলে যেতে পারে। কিন্তু ফাইনালে দৌড়ানো এবং জেতা; এটা স্বপ্নটাকে সত্যি করেছে। আমি আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমাকে সবসময় সমর্থন দিয়েছে। আমার বাচ্চারা, মা; যিনি আমার এক নম্বর ভক্ত সেই ছোটবেলা থেকে। এবং আমার দলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমাকে অনুসরণ করেছে, সমর্থকদেরও।’

 

সূত্রঃ যুগান্তর