‘আর্থিক সেবা খাতকে নিয়ন্ত্রণ করে যথাযথ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা সম্ভব’

‘যথাযথ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার মানে হচ্ছে বিভিন্ন আয়ের (নিম্ন, মধ্যম ও উচ্চ আয়) গ্রাহকদের জন্য আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবা নিশ্চিত করা। আর গ্রাহক হিসেবে বিভিন্ন আয়ের মানুষের উপস্থিতি পুরো আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা বাড়ায়। অন্যদিকে আর্থিক সেবা খাত যদি স্থিতিশীল থাকে তবে আর্থিক সেবার ক্রয়মূল্য কমে আসে এবং আর এর ফলে আরো বেশি বেশি গ্রাহক আর্থিক সেবা নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। অর্থাৎ আর্থিক সেবা খাতের স্থিতিশীলতার ফলেও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ঘটে।’

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দক্ষিণ পূর্ব এশীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নেটওয়ার্ক এসইএসিইএন-এর উদ্যোগে ডেপুটি গভর্নরদের নিয়ে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের সেমিনার বক্তব্য রাখার সময় একথাগুলো বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

এসইএসিইএন-এর পক্ষ থেকে গ্লেন টাস্কি সেমিনারের এই অধিবেশন সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন এবং অংশ নিয়েছেন ভারত, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, নেপাল ও বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আলোচনায় ড. আতিউর বলেন- বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক অন্তভুর্ক্তির ক্ষেত্রে কৃষি, এসএমই, নারী উদ্যোক্তদের উৎসাহ প্রদান এবং সবুজ অর্থায়নের ওপর জোর দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন যে সচরাচর যারা ব্যাংকিং সেবা থেকে বঞ্চিত থাকেন বা তুলনামূলক কম সেবা পান সেসব গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বর্গচাষীদের জন্য ঋণ কর্মসূচি এবং মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসের মতো উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগগুলোকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা এবং মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে একযোগে কাজ করে সুফল পাওয়া গেছে।

কালের কণ্ঠ