আরেক বিতর্কিত পম্পেওকে সিআইএ প্রধান করছেন ট্রাম্প

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

মুসলিমবিরোধী বলে পরিচিত মাইকেল ফ্লিনকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা করার এবার আরেক বিতর্কিত ব্যক্তিকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাইক পম্পেও মার্কিন নাগরিকদের ওপর সরকারি নজরদারির পক্ষে এবং ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির বিরোধিতা করেন।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা মাইক ওয়েস্ট পয়েন্ট ও হার্ভার্ড ল স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। তিনি রিপাবলিকান দলের হয়ে দেশটির হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের একজন সদস্য। সিআইএ-এর জিজ্ঞাসাবাদের যেসব পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে সমালোচিত সেগুলোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তিনি।

৫২ বছরের মাইক হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য। ২০১০ সালে প্রথম তিনি নির্বাচিত হন। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের নেতারা তাকে একজন বুদ্ধিমান হিসেবে মনে করে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো তার বিরোধিতায় উচ্চকণ্ঠ সব সময়। রাশিয়া প্রসঙ্গে ট্রাম্প নিজের যে অবস্থানের কথা বলে এসেছেন সেগুলোর সঙ্গেও মাইকের ভিন্নতা রয়েছে। ফলে ট্রাম্প মাইককে সিআইএ প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়াতে অনেককেই অবাক করেছে।

এর আগে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে মাইকেল ফ্লিনকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সির সাবেক প্রধান মাইকেল ফ্লিন নির্বাচনি প্রচারণার সময় নিরাপত্তা ইস্যুতে ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। যখন অন্য জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের প্রার্থিতার সমালোচনা করে যাচ্ছিলেন তখন তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ৫৭ বছর বয়সী ফ্লিন। দুঃসময়ে পাশে থাকার পাশাপাশি ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতি ইস্যুতেও তাকে বেশ সাহায্য করেছেন ফ্লিন। রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, মুসলিমবিদ্বেষসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি বিতর্কিতও। মাকিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্রনীতির প্রকাশ্য বিরোধিতা করতে দেখা গেছে ফ্লিনকে।

২০১৬ সালে ‘দ্য ফিল্ড অব ফাইট: হাউ উই ক্যান উইন দ্য গ্লোবাল ওয়্যার এগেইন্সট র‍্যাডিকেল ইসলাম অ্যান্ড ইটস অ্যালিজ’ নামের বইটি লেখেন ফ্লিন। তার সহলেখক ছিলেন রিগ্যান প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল লিডিন। বইয়ে ফ্লিন বলেছিলেন, ‘তথাকথিত রাজনৈতিক শুদ্ধতার পূজারী’ নন তিনি। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরটিতে নিয়মিত হাজির হওয়ার কারণেও ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে ফ্লিনের বিরুদ্ধে। একবার চ্যানেলটির একটি অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই সিট পড়েই বসে থাকতে দেখা গেছে তাকে। পরে অবশ্য ফ্লিন বলেছিলেন, তিনি সিএনএন কিংবা অন্য সংবাদমাধ্যমগুলোর থেকে আরটিকে আলাদা করে দেখেন না।

ফেব্রুয়ারিতে মুসলিমবিদ্বেষী টুইট করেন ফ্লিন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘মুসলিমদের নিয়ে আতঙ্কিত হওয়াটা যৌক্তিক’। তার সে টুইট কখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। সূত্র: রয়টার্স।

সূত্র : বাংলাট্রিবিউন