আমাদের খাদ্যের কোনো অভাব হবে না : প্রধানমন্ত্রী

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে রোজার মাসে খাদ্য সরবরাহের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়ে হয়েছে- এমনটি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমাদের খাদ্যের কোনো অভাব হবে না। এখন ধান কাটাও শুরু হয়ে গেছে, আগামীতেও ফসল উঠবে। সেই সঙ্গে অন্য যা প্রয়োজন- তরিতরকারি, ফলমূল যে যা পারবেন উৎপাদন করবেন- আমরা সেটাই চাই।’

সোমবার সকালে গণভবন থেকে ঢাকা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের আট জেলার জনপ্রতিনিধি ও পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। জেলাগুলো হল- ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর ও শেরপুর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, উৎপাদিত পণ্য সরবরাহের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কোনো বাজারে যেন কোনো জিনিসের অভাব না হয়। বড় খোলা জায়গায় যথাযথ দূরত্ব বজায় রেখে হাটবাজার পরিচালনা করতে হবে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী এর আগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ৪ দফা পৃথক ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট এবং বরিশাল বিভাগের ৪৩টি জেলার সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সোমবারের ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী রফতানিমুখী কিছু কারখানা খোলার ব্যাপারে জোর দেন। পাশাপাশি এবার ঈদের জামাত না হওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া মাস্ক সরবরাহে নজরদারি বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।

সরকারের দেয়া ধান সংগ্রহের ঘোষণার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণত বোরোতে আগে আমরা যা নিতাম তার থেকে অনেক বেশি আমরা এখন নিচ্ছি। এখন আমরা ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান, ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আতপ এবং ৮০ হাজার মেট্রিক টন গমসহ সর্বমোট ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য সংগ্রহ করব। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা ক্রয় করব, তাতে আমাদের আর ভবিষ্যতে কোনো অভাব হবে না। আমরা মানুষকে খাবার সহযোগিতা দিতে পারব।’

সামাজিক সুরক্ষায় সরকারের দেয়া অর্থ ও ভাতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাছাড়া আমরা ১০ টাকা কিলোতে ওএমএস চালু করেছি। সেটা আমরা ৫০ লাখ লোকের রেশন কার্ড আছে যারা এই ১০ টাকায় ওএমএস এই চালটা কিনতে পারে। ওএমএসে চালটাও ১০ টাকা দিয়েছি সেখানে আরও ৫০ লাখ পরিবারের জন্য আমরা কার্ড করে দেব। সেই তালিকাও আমরা করতে বলেছি যেটা একেবারে ডেটাবেস করা থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হিসাব করে দেখেছি, প্রায় ৫ কোটি মানুষ অর্থাৎ একটা পরিবারকে যদি আমরা চার সদস্য বা পাঁচ সদস্য হিসেবে ধরি তাহলে কিন্তু ৫ কোটি মানুষই এর উপকার পাবে। অর্থাৎ প্রতিটা মানুষ যেন অন্তত খাদ্য পায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সারা দেশে সাধারণ ছুটি ও গণপরিবহন বন্ধ থাকার মধ্যেও শ্রমজীবী মানুষরা যাতে ধান কাটার কাজ করতে পারেন সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের খাদ্যটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আজকে এই করোনাভাইরাসের জন্য বিশ্বব্যাপী যে খাদ্য মন্দা সৃষ্টি হবে আগামীতে হয়তো বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে কিন্তু বাংলাদেশে আমরা যদি খাদ্য উৎপাদন করে আমাদের মজুদ রাখতে পারি তাহলে আমরা সেই দুর্ভিক্ষে পড়ব না

বরং আমরা অনেককে সাহায্য করতে পারব। আমাদের সেই ব্যবস্থা এখন থেকে নিতে হবে।’ কোনো জমি যেন অনাবাদি না থাকে সেদিকে দৃষ্টি দিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছি, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। কৃষি খাতে আরও বেশি। মাত্র ৪ শতাংশ সুদে আমরা কৃষি ঋণ দিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে রফতানিমুখী খাত, বৃহৎ শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসায়ীর জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করেছি। পরে কৃষি খাতের জন্য প্রণোদনা দিয়েছি। এই প্রণোদনা কেবল ধান চাষীদের জন্য নয়, মৎস্য-পোলট্রি-ডেইরি সব খাতকে প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং কোনো খাত প্রণোদনা থেকে বাদ পড়বে না।’

করোনা যুদ্ধ মোকাবেলায় সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশই এই প্যাকেজ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে, তা শুধু এই বছরের জন্য নয়। আগামী তিন বছর দেশের অর্থনীতির চাকা যাতে সচল থাকে সেটা মাথায় রেখেই এই প্রণোদনা। এটা অব্যাহত রাখা হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংকট মোকাবেলায় আমরা মানুষকে সচেতন করতে পেরেছি বলেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সবাই সচেতন হলে করোনা থেকে বাঁচা সম্ভব হবে।’ তিনি বলেন, ‘আরেকটু সচেতন হলেই বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং অযথা ঘোরাঘুরি করে নিজেকে এবং অন্যের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলবেন না।’ সারা দেশে করোনা চিকিৎসায় কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য ৫০৭ প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি ভালো আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান এপ্রিল মাসে যেন সংক্রমণ অধিক হারে বাড়তে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘এপ্রিল মাসটি আমাদের জন্য একটু কষ্টকর হবে। এ মাসে সাবধানে থাকতে হবে।

তারপরও ইউরোপ-আমেরিকায় যে পরিমাণ রোগ সংক্রমিত হয়েছে তার তুলনায় আমাদের দেশে কম। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশেই বাঙালি মারা গেছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশিদের মৃত্যুতে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।

গাজীপুর জেলা প্রশাসন গার্মেন্ট কারখানা চালুর খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাস্তবতার কারণে কিছু শিল্প-কারখানা চালু করা জরুরি। ‘কিছু কিছু গার্মেন্ট কারখানার পণ্য রফতানির জন্য খোলা রাখতে হবে। এটাও ঠিক সামনে রোজা সবাইকে একেবারে বন্ধ করে রাখতে পারব না। আস্তে আস্তে কিছু কিছু জায়গায় উন্মুক্ত করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে গার্মেন্ট মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করার পরার্মশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সত্য যে, কিছু কিছু শিল্প আছে যাদের পণ্য রফতানি হবে। এজন্য আমাদের লক্ষ্য আছে কিছু কিছু খোলা রাখার। আর কিছু কিছু চালু করতেই হবে। বিশেষ করে আমাদের ওষুধ শিল্প, অ্যাপ্রোন থেকে শুরু করে, হেড ক্যাপ, সু ক্যাপ এগুলো যারা তৈরি করছে তাদের জন্য খোলা রাখতেই হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব মালিকরা কারখানা খুলতে চান, তারা স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে কীভাবে শ্রমিকদের সুরক্ষা দেবেন তা আলোচনা করে ঠিক করতে পারেন। কারখানার মধ্যে কোনো ফাঁকা জায়গা থাকে সেখানে যদি তাদের থাকার ব্যবস্থা করা যায়। যেখানে তারা সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত হবে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জায়গা যেখানে আছে তারাও সেখানে সেই ব্যবস্থা করতে পারে।

প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকদের কত পার্সেন্ট আসতে চায় তা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। তাদের আনতে হলে আনার ও থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। তারা যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় থাকতে পারে। তাহলে তারা এটা চালু করতে পারবে। এই জিনিসটা আপনাদের দেখা উচিত এবং সেভাবে আলোচনা করা উচিত। এটাও ঠিক সামনে রোজা সবাইকে একেবারে বন্ধ করে রাখতে পারব না। আস্তে আস্তে কিছু কিছু জায়গায় উন্মুক্ত করতে হবে।

গাজীপুরে করোনা প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গাজীপুরে এই রোগের প্রাদুর্ভাবটা খুব বেশি দেখা দিচ্ছে। আপনাদের চিন্তা করতে হবে ২৪ বা ২৫ তারিখে চালু করা ঠিক হবে কিনা। এটা বুঝে নিয়েই শিল্প খোলার কথা বা সুরক্ষার কথা ভাবতে হবে। তবে বলব না যে, একদম বন্ধ থাকুক সীমিত আকারে সেই পরিমাণ শ্রমিক আসতে হবে। তারা সেভাবে চালু করতে পারবে। মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এটা ঠিক করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। এরপর আমরা বসব। নেতাদের (গার্মেন্ট মালিক) সঙ্গে আমি এ বিষয়ে বসব, কথা বলব।’

আগেরবার হঠাৎ করে শ্রমিক আনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতবার হঠাৎ সুপারভাইজারদের দিয়ে শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে এলো। পরের দিনই বলেছিল চলে যাও- এটা ঠিক হয়নি। এই আসা-যাওয়ায় শ্রমিকরা যে কষ্টটা পেয়েছে। যোগাযোগের সব বন্ধ, মাইলের পর মাইল হেঁটে হেঁটে এই মেয়েরা পৌঁছেছে। এভাবে যেন আর তাদের বিড়ম্বনায় না পড়তে হয়।

গাজীপুরে আক্রান্তের হারে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গাজীপুরে এই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। যেভাবে বাড়ছে, এভাবে বাড়ার ট্রেন্ড তো ঠিক নয়। এটাকে যে করে হোক ঠেকাতে হবে।’

ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতাল ব্যবহারের চিন্তা : গাজীপুরে অবস্থিত ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশেষায়িত হাসপাতাল করানোর চিকিৎসায় ব্যবহার করার চিন্তার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মায়ের নামে গাজীপুরে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল আছে। আমি জানতে পেরেছি সেখানকার ৩০ জন ডাক্তার-নার্স করোনায় আক্রান্ত। তারা বোধহয় হাসপাতালটা বন্ধ করতে চাচ্ছেন। আমি অবশ্য তাদের প্রস্তাব দিয়েছি যদি প্রয়োজন হয় ওখানে করোনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারি। তাদের সঙ্গে একটা চুক্তি আছে। আমরা ওই হাসপাতালটা ব্যবহার করতে পারি। ৫০০ বেডের হাসপাতালে আড়াইশ’ বেড চালুর ব্যবস্থা সেখানে আছে। এটা চালু করার সুযোগ রয়েছে। হাসপাতালাটা মালয়েশিয়ানরা চালাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দেখা যেতে পারে। জেলা প্রশাসন এটা নিয়ে আলোচনা করতে পারে।’

ডব্লিউএইচও’র নিয়ম না মেনে পরীক্ষা নয় : কোনো প্রতিষ্ঠান করোনা রোগী শনাক্তে পরীক্ষা করতে হলে নিয়ম মেনে করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই রোগের পরীক্ষা স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং ডব্লিউএইচও নিয়ম মেনেই করতে হবে। তারা যে ফর্মুলা দিয়েছে তা মেনেই করতে হবে। কেউ কারও ইচ্ছামতো পরীক্ষা করল আর বলে দিল হ্যাঁ বা না। এটা কিন্তু কখনও গ্রহণযোগ্য হবে না। এ বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে।

মাস্ক সরবরাহে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ : করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে সাধারণ মাস্ক দেয়া নিয়ে আলোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহানগর হাসপাতালে কিছু জিনিস গেছে, পিপিইর নাম দিচ্ছে বেশ ভালো, কিন্তু জিনিসগুলো বোধহয় ঠিকমতো যায়নি। এটা একটু আপনাদের খোঁজ করে দেখা উচিত।’

পরে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদ উল্লাহ ব্যাখ্যা দিতে গেলে তাকে থামিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এন-৯৫ লেখা আপনাদের বক্সে। কিন্তু ভেতরের যে জিনিসটা, সেটা সঠিক থাকে কিনা, এটা একটু আপনাদের দেখা দরকার।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা দিয়ে দিচ্ছেন, বলে দিচ্ছেন। কিন্তু যারা সাপ্লায়ার, তারা ঠিকমতো এটা দিচ্ছে কিনা বা সঠিক জিনিসটা কিনছে কিনা, এটা দেখা দরকার। এটা দেখবেন। আমি মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি ছবিটা, ওটা যাচাই করে দেখার জন্য। এটা একটু নজর দিয়েন। এখানে যেহেতু অনেকে লাইভে আছেন, আমরা কথা বলছি না। লেখা আছে এন-৯৫। কিন্তু ভেতরের জিনিস কিন্তু সব সময় সঠিকটা যাচ্ছে না।’ এবারের ঈদের নামাজের জামাত না হওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী সেখানকার পেশ ইমাম মাওলানা মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদের কথা শোনার ইচ্ছা পোষণ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানকার শোলাকিয়ায় ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত হয়। এবার তো আমরা জামাত করতে পারব না।

ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। ভিডিও কনফারেন্সের গণভবন প্রান্তে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

 

সুত্রঃ যুগান্তর