আপনি সুখী কি না বুঝবেন যেভাবে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

সুখ পরিমাপ করা যায় না। তবে কে সুখী আর কে নন তা যাচাই করতে বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত অনেক সমীক্ষা ও গবেষণা চালিয়েছেন।

বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও জরিপ চালিয়ে বিজ্ঞানীরা জানতে পেয়েছেন সুখী ব্যক্তিদের আসলে কীভাবে চেনা যায়। বেশ কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যার মাধ্যমে আপনি সুখী কি না তা জানতে পারবেন-

সব কাজে দেরি করা

কাজে দেরি করা কিংবা অফিসে দেরিতে পৌঁছানোর অভ্যাস মোটেও ভালো বিষয় নয়। তবে যারা সব সময় দেরিতে কাজ সারে তারাই নাকি বেশি সুখী ও দীর্ঘজীবী হন।

বিজ্ঞানীদের মতে, যারা দেরি করে কাজ করেন তারা সময় ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বেশি আশাবাদী হন। তাদের মধ্যে কর্মস্পৃহা অনদের চেয়ে বেশি থাকে। এমন ব্যক্তিরা শান্ত প্রকৃতির হন ও ব্যস্ত পরিস্থিতিতে কখনো আতঙ্কিত হন না।

তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যারা খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠেন তারা অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী ও খুশি থাকেন। অন্যদিকে যারা অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমান তারা জীবনে কম সন্তুষ্ট ও বেশি মানসিক অসুস্থতায় ভোগেন। অন্যদিকে যারা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠেন তারা বিষণ্নতা ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় কম ভোগেন।

বোন থাকলে

যে পরিবারে বোন আছে সে পরিবারের ভাই-বোনেরা অন্যদের চেয়ে সুখী হন। এর প্রধান কারণ হলো পুরুষের চেয়ে নারীরা অন্য ভাই-বোনেদের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।

এছাড়া পরিবারের বড় বোন থাকলে সামাজিক দক্ষতা উন্নত হয় ও পুরুষরা নারীদের সঙ্গে আরও ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারে, এমনকি নারীদের প্রতি কীভাবে সম্মান দেখাতে হয় সেটিও শেখে।

ফুলে বাগানের মালি হলে

বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন, ফুলের বাগানের মালিরা অন্যান্য সব পেশার মানুষের চেয়ে সবচেয়ে সুখী। এমনকি মর্যাদাপূর্ণ ও ভালো বেতনের চাকরি একই পরিমাণে সুখ প্রদান করে না। উদাহরণস্বরূপ সবচেয়ে কম খুশি কর্মীরা ছিলেন এইচআর ও আইটি কর্মী ও ব্যাংকার।

ফিনল্যান্ডে থাকলে

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধানের একটি বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রতিটি দেশের সুখের মূল্যায়ন করা হয়। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন আয়ু ও সামাজিক বিষয়ে জরিপ করা হয়।

বিভিন্ন দেশের মধ্য থেকে ফিনল্যান্ডকে সবচেয়ে সুখী দেশ বলে আখ্যায়ি করা হয়েছে। সেখানকার মানুষেরা তাদের সামগ্রিক জীবন নিয়ে বেশি সুখী।

প্রচুর ফল ও সবজি খান যারা

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ফল ও সবজি গ্রহণের পরিমাণ ৩-৪ সার্ভিং থেকে ৮ সার্ভিং পর্যন্ত বাড়িয়েছেন তারা আগের চেয়ে আরও বেশি সুখী ছিলো। তাদের সুখী হওয়ার পরিমাণ ছিল নতুন চাকরি খোঁজার সমান।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ