আন্দোলনের ধরণ দেখে চটেছেন খালেদা-তারেক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেয় বিচারিক আদালত। পরে তাকে বিকাল সোয়া ৩টায় রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মী মনে করেছিলেন, তার কারাদণ্ড হলে দলের নেতাকর্মীরা চেয়ারপারসনের জন্য জোরালো আন্দোলন-কর্মসূচিতে নামবেন। কিন্তু এমনটা হয় নি। খালেদা জিয়া কারাগারে যাবার পরও কোনো প্রকারের সক্রিয় আন্দোলন সংগঠিত করতে পারেনি বিএনপি। এ নিয়ে নাখোশ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

কারাগারে খালেদার সঙ্গে দেখা করে আসার পর এমনটাই জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা। তারা বলছেন, ম্যাডামের কারামুক্তি আন্দোলন-কর্মসূচি নিয়ে তিনি প্রচণ্ড বিরক্ত।  অন্যদিকে, দল থেকে অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও ৬ ঘন্টার কর্মসূচি ৩ ঘন্টার মধ্যেই শেষ করেন নেতাকর্মীরা।  এ নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক লেখালেখিও হয়েছে।  এতে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উপর রীতিমতো রেগে আছেন।  দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের মধ্যে দুই-একজন দেখা করতে গেলেও তাদের সঙ্গে কথা বলেন নি ম্যাডাম।  এমন প্রেক্ষাপটে ম্যাডামের মনবল ভেঙে পড়েছে।

অপরদিকে, বিএনপির এমন আন্দোলনে ভীষণ বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তারেক রহমান।  খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের পর থেকে দেশে অবস্থানরত বিভিন্ন নেতাকর্মীর সঙ্গে পরামর্শের জন্য ফোন দিলে অনেকেই ফোন ধরছেন না।  এ প্রসঙ্গে বিএনপির এক নেতা বলেন, আন্দোলনকে আরো সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে ফোন দিয়েছিলেন তারেক রহমান।  কিন্তু বিএনপি যে কতোটা সংকটময় সময় পার করছে তা লন্ডনে থেকে বোঝা সম্ভব নয়।  ফলে এমন দুর্বল আন্দোলন নিয়ে তারেক রহমান যতোই অভিমান করুক না কেনো, এতে কোনো লাভ নেই।  সব কিছু পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।  পরিস্থিতি বলে দিচ্ছে বিএনপি আন্দোলন কর্মসূচিতে কতোটা অসহায়।

উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন করে আরো ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করছে বিএনপি। তার মধ্যে রয়েছে গণস্বাক্ষর অভিযান, স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ সমাবেশ। তবে এসব আন্দোলনের কোনোটিই সফল হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতাকর্মী। সূত্র: অনলাইন