আজ থেকে সরাসরি বিচারকাজে ফিরছেন সুপ্রিম কোর্ট

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় বিচারক-আইনজীবী, কর্মকর্তাদের শারীরিক উপস্থিতিতে ফের সরাসরি বিচারকাজে ফিরেছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কার্যতালিকা অনুযায়ী আজ রবিবার (৬ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে বসেছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

হাইকোর্টের বেঞ্চগুলো সাধারণত সাড়ে ১০টা থেকে বসে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সরাসরি বিচারকাজে বসার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এসংক্রান্ত তিনটি বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমানের স্বাক্ষর দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ৬ মার্চ থেকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আলম ভূঞার স্বাক্ষর দেওয়া আরেক বিজ্ঞপ্তিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারকাজ সম্পর্কে বলা হয়, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান প্রতি সপ্তাহে রবিবার (আজ) থেকে বুধবার পর্যন্ত চার দিন বেলা আড়াইটা থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে চেম্বার আদালতের বিচারকাজ পরিচালনা করবেন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমানের দেওয়া আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বিচারক ও আইনজীবীদের পোশাকের বাধ্যবাধকতা বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।

গত বছরের শেষের দিকে মাসখানেক শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হলেও নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্ট ফের ওয়েব মিটিং সফটওয়্যার ‘জুম’-এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল বিচারকাজে ফিরে যায়।

২০২০ সালের মার্চের শেষ দিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলে দেশের সব আদালতও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্য বা যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় দিতে পক্ষদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার ক্ষমতা দিয়ে আইন করা হয়। এরপর ওই বছরের ১১ মে দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম ভার্চুয়াল আদালতে বিচারকাজ শুরু হয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ