অসেচতন মানুষ, ঝুঁকি নিয়েই রাজশাহীর বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের গণমাধ্যমগুলো বার বার বলা হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপদে রাখতে। করোনা ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি এই বয়সের মানুষ। এমনকি বাড়ির বাইরে বের না হতে বার বার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এই নির্দেশনা এতোদিন অনেকটা ভালোভাবেই মেনে চলেছিলেন রাজশাহীর সাধারণ মানুষ। কিন্তু সরকার আজ থেকে ঈদের কেনাকাটার জন্য দোকানপাট খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় রাজশাহীর বাজারে সকাল থেকেই বাড়ে হাজার হাজার মানুষের ভিড়।

রাজশাহী নগরবাসী ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকেও মানুষ অটোরিকশায় চড়ে শহরের নিউমার্কেট ও আরডিএ মার্কেট এবং সাহেব বাজার কাপড় পট্টির সামনে এসে ভিড় করতে থাকেন। এতে লোকে-লোকারণ্য হয়ে উঠে নগরী। সামাজিক দূরুত্বও মানা হচ্ছে না।

পরিস্থিতি এতোটা ভয়াবহ হয়ে উঠে যেন কারো মাঝেই করোনা সচেতনতা নিয়ে কোনো ভাব-লেস ছিল না। ফলে শিশু ও বৃদ্ধদেরও ব্যাপক আনা-গোনা লক্ষ্য করা যায় বাজারের দোকানের সামনে। শিশুদের হাত ধরে, কোলে করে নিয়ে আসতে দেখা যায় অভিভাবকদের। অনেক শিশুর মুখে মাস্কটিও লক্ষ্য করা যায়নি। আবার বৃদ্ধ ও নারীদেরও ভিড় লক্ষ্য করা যায় ব্যাপক হারে।

যদিও গতকাল শনিবার যৌথ সভায় রাজশাহী সব দোকানপাট ঈদের কারণেও খোলা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই অনুযায়ী সকাল থেকে পুলিশ মার্কেটের সামনে অবস্থান নেয়। এতে করে নগরীর দুটি বড় মার্কেট সাহেব বাজার আরডিএ মার্কেট ও নিউমার্কেটের দোকানপাট খুলতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তার পরেও কেনাকাটার জন্য ভিড় করতে থাকেন অসচেতন মানুষ।

ঈদের কেনাকাটা করতে আসা হোসনে আরা নামের এক নারী এসেছিলেন তার দুই শিশুকে সঙ্গে নিয়ে। তিনি বলেন, বাসায় ওরা জেদ করছিলো বাজারে আসবে তাই। এ কারণে নিয়ে আসলাম। কিন্তু দোকানপাট তো বন্ধ। এখন খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হবে।’

ষাটার্দ্ধো হযরত আলী বলেন, একটা পাঞ্জাবি কিনতে এসেছিলাম। তবে দোকানপাট বন্ধ থাকায় কিনতে পারিনি।

এদিকে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও কিছু কিছু ব্যবসায়ী ভিতরে বসে থেকে আর বাইরে কর্মচারী দাঁড় করে রেখেও ব্যবসা চালিয়ে যেতে দেখা যায়। কেউ কেউ আবার দোকানের অর্ধেক খোলা রেখে ব্যবসা চালাচ্ছেন।

নগরীর সাহেব বাজার এলাকার এইরমক এক ব্যবসায়ী আকবর আলী বলেন, ‘আর কতদিন বন্ধ রাখবো। সংসার তো চলছে না। ঋণ-দেনায় জড়িয়ে পড়ছে। সামান্য পূঁজি নিয়ে ব্যবসা করে সংসার চালায়। দিনে পর দিন দোকান বন্ধ থাকায় এখন সংসারের চাকাও বন্ধ হতে শুরু করেছে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই করোনা আতঙ্কের মধ্যেও দোকান অর্ধেক খোলা রেখে ব্যবসা করছি।’

স/আর

আরও পড়ুন:

ঈদেও রাজশাহীর সকল মার্কেট বন্ধ থাকবে