অষ্টম শ্রেণী পাশেই দলিল লেখকের সনদ!

নিজস্ব প্রতিবেদক:
অষ্টম শ্রেণী পাশের সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়ে রাজশাহী পবা উপজেলা দলিল লেখকের সনদ গ্রহন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে পবা উপজেলা দলিল লেখক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

পবা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির কোষাধ্যক্ষ লুৎফর রহমান সাক্ষরিত সমিতির পত্রে লিখিত ভাবে এ আভিযোগ করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, রাজশাহী পবা উপজেলার বিরস্থল এলাকার মৃত জানবক্স’র ছেলে পবা উপজেলা দলিল লেখক শরিফুল ইসলাম, সনদ নং-১৪, অষ্টম শ্রেনীর সার্টিফিকেট দিয়ে পবা উপজেলা দলিল লেখকের সনদ গ্রহন করেছেন। তিনি বর্তমানে পবা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সংগঠনিক পদে নিযুক্ত আছেন। সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী দলিল লেখকের সনদ গ্রহনের জন্য নূন্যতম এসএসসি পাশের সার্টিফিকেট অবশ্যক, কিন্তু তিনি অষ্টম শ্রেনী পাশের সার্টিফিকেট প্রদান করে দলিল লেখকের সনদ গ্রহন করে। সেই সনদের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সময় দলিল জালিয়াতি করে আসছে। এতে করে উক্ত পেশার সুনাম খুন্ন হচ্ছে।

অভিযুক্ত শরিফুল ইসলামের সাথে যোগাগোগ করা হলে তিনি সিল্কসিটি নিউজকে মুঠোফোনে বলেন, আমি ২০০১ সালে অষ্টম শ্রেনী পাশের সার্টিফিকেট দিয়ে সদর সাব-রেজিষ্টেরি অফিসের ৩৪০ নং সনদ প্রাপ্ত হই। তখন অষ্টম শ্রেনী পাশের সার্টিফিকেটে সনদ প্রদান করা হতো। এ প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে পবা সাব-রেজিষ্টারি অফিসে ১৪ নং সনদ গ্রহন করি।

সরকারি প্রতিষ্ঠানে জালিয়াতি করে কিভাবে কাজ করতে পারি। অভিযোগটি পবা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির কোষাধ্যক্ষ লুৎফর রহমান ব্যক্তিগত কারণে করেছেন বলেও তিনি দাবি করেন।

এসব বিষয়ে পবা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এসএম আয়নাল হক সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, আমার জানা মতে আমাদের দলিল লেখক সমিতিতে প্রায় একশ টির বেশী লাইসেন্স আছে। তারা সবাই এসএসসি পাশ। বর্তমানে দলিল লেখকের সনদ পেতে হলে নূন্যতম এসএসসি পাশ হতে হবে। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

স/অ