গোলাম রসুল, দুর্গাপুর:
প্রতি বছর আষাঢ়- শ্রাবণ অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের দোকান গুলোতে ছাতা বিক্রয় ও পুরনো ছাতা মেরামতের হিড়িক পড়ে যায়। এবারো তার বেতিক্রম নই। ইতিমধ্যে ছাতা মেরামতকারীদের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে।
বুধবার উপজেলার সিংগা হাটে সরজমিনে দেখা গেছে, আষাঢ়ের এক সপ্তাহ পর থেকে ছাতার দোকান গুলোতে ছাতা বিক্রির ধুম পড়েছে। গ্রামগঞ্জের প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে ছাতা ক্রয়ের জন্য আসছেন এসব উপজেলার হাট বাজারের দোকান গুলোতে। পৌর বাজারের ছাতা ব্যবসায়ী আসলাম উদ্দিন, মমিন উদ্দিন,আব্দুল মালেক,সামসুল হক জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় ইতিমধ্যে দ্বিগুন ছাতা বিক্রয় করেছেন গত এক সপ্তাহে।
তারা আরো জানান, ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক সকল প্রকার ছাতা সরবরাহ করে তা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবছরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছাতা বেশি ক্রয় করছেন। উপজেলার হাট কনপাড়া বাজারের ছাতা বিক্রেতা আবদুল আজিজও একই কথা বলেন।
তাদের ভাষ্যমতে, স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরা রং-বেরংঙের ছাতা কিনতে বেশি পছন্দ করে। এবছর কোয়ালিটি অনুসারে সর্বনিম্ন দেড়’শ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৫’শ টাকা পর্যন্ত প্রতিটি ছাতা বিক্রি হচ্ছে। ভারী বর্ষনের ফলে দুর্গাপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন হাট বাজারের প্রতিদিন ছাতার দোকানে উপচে পড়া ভীড় লক্ষনীয়।
উপজেলার সিংগা, কানপাড়া, আমগাছী, বেলঘরিয়া, আলীপুর হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেশাজীবি না হলেও বর্ষা মৌসুমে ছাতা মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করছেন স্থানীয় দরিদ্র পরিবারের বেকার যুবক, বৃদ্ধ, শ্রমিকসহ অনেকেই। উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাতা মেরামত করতে আসা টেকনেশিয়ান মফিজ উদ্দিন, জাবেদ আলী, ওমর আলী, আষাঢ়ের শুরু থেকে তারা উপজেলার বিভিন্ন বাজারের হাটবারে ঘুরে ঘুরে ছাতা মেরামতের কাজ করেন। বর্তমানে ছাতা মেরামত করে প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৭শ’ টাকা আয় করছেন।
গতবারের তুলনায় এবার ছাতা মেরামতকারীর সংখ্যা একটু বেড়েছে। অনেকেই দুই তিন বছরের পুরনো ভাঙ্গা ও নষ্ট ছাতা নিয়ে এসে মেরামত করছে বলে তারা জানান।
স/আ