বুধবার , ১৭ জুন ২০২০ | ৩রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

জমে উঠেছে রহনপুর আম বাজার

Paris
জুন ১৭, ২০২০ ৪:১১ অপরাহ্ণ

নাহিদ ইসলাম, গোমস্তাপুর:


হরেক স্বাদ ও জাতের আম বেচাকেনায় মুখর হয়ে উঠেছে আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর আম বাজার।

রহনপুর রেল ষ্টেশন চত্ত্বরের এ আম বাজারে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত আম বেচাকেনা করছে আম ব্যবসায়ীরা। তবে সকালের দিকে কিছুটা আমের আমদানী বাজারে কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে আম বাজারে আম আমদানী বেড়ে যায়।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানের আম বাগান থেকেও সারাদেশে সরাসরি আম সরবারহ করা হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে গুটিজাতের প্রধান আম গোপালভোগের সরবরাহ অনেকটা কমে গেছে। এখন বাজারে খিরসাপাত(হিম সাগর), লেংড়া, কালীভোগ, লক্ষনাসহ বিভিন্ন গুটি জাতের আমের সরবারহ রয়েছে।

করোনার কারনে বাইরে অধ্যায়নরত ছাত্রছাত্রীরা মৌসুমি আম ব্যবসায়ী হিসেবে অনলাইনে আমের অর্ডার ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনলাইন ক্রেতাদের আম সরবারহ করছে। এ আম বাজারের বিভিন্ন আড়ৎগুলোতে আমের প্যাকেটজাত করার কাজে শত শত দিনমজুর জড়িত রয়েছে।

এছাড়া আম বাজারগুলোতে সমাগম বেড়েছে বিভিন্ন জেলার ক্রেতা-বিক্রেতার। বাগান থেকে হাট-বাজার সর্বত্রই আম নিয়ে চলছে ব্যবসায়ীদের বিরামহীন কর্মযজ্ঞ।

আম ব্যবসায়ীরা বলছেন, অসময়ে বৃষ্টি ও আম্পানের কারণে বাগানগুলোতে চলতি মৌসুমে আম কম ফলন হয়েছে। আর আমের সরবারহ কম থাকায় আম বাজারে আমের দাম একটু বেশি। বাজারে হিমসাগর আম প্রতি মণ বেচাকেনা হচ্ছে ৩ হাজার থকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দরে। আর গুটি আম বেচাকেনা হচ্ছে ১২শ থেকে ১৫শ টাকা দরে। এবার বাগানগুলোতে আম কম থাকায় আমের ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে বলছেন ব্যবসায়ীরা।

অপরদিকে গোমস্তাপুর উপজেলা আম চাষী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে বিকাল ৪ টার মধ্যে আম বাজার বন্ধ করে দেয়ায় বাইরে থেকে আসা আম ব্যবসায়ীরা চাহিদা মত আম ক্রয় করতে পারছে না।

এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন সম্প্রতি আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ গোমস্তাপুর উপজেলার আমচাষীদের সরকারের প্রণোদনার জন্য তালিকা করা হয়েছে তাতে আমাদের কোন পরামর্শ নেয়া হয়নি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন আম চাষী নেতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ আম চাষীদের তালিকা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া আম চাষীদের নিরাপদ আম উৎপাদান ও বাইরে থেকে আম ক্রয়-বিক্রয় করতে আসা ব্যাপারিরা যাতে স্বাস্থবিধি মেনে চলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। বাজারে বিষমুক্ত আম সরবরাহ নিশ্চিত করতে মনিটরিং কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, এবার উপজেলায় ৪ হাজার ১শ ৭৫ হেক্টর জমিতে ১৯ জাতের আম ফলের চাষ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয় ৪৫ হাজার ৯শ ২৫ মেট্টিক টন।

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর