খাবার জীবাণুমুক্ত করতে ইউনিসেফের ৭ পরামর্শ

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে খাবার জীবাণুমুক্ত করা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৭টি পরামর্শ দিয়েছে ইউনিসেফ।

করোনার ভয়াবহতার এই সময়ে সবাই যখন ঘরবন্দি তখন স্বাস্থ্যকর খাবারের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ খাবারই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জোরদার করার অন্যতম প্রধান উপায়।

লকডাউনের এই সময়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ধরে রাখতে ৭টি পরামর্শ দিয়েছে ইউনিসেফ। যার মূল প্রতিপাদ্য হলো খাবার জীবাণুমুক্ত করা ও প্যাকেটজাত খাবার জীবাণুমুক্ত রাখতে করণীয়।

ইউনিসেফের ৭ পরামর্শ-

১. খাবার ও খাবারের মোড়ক থেকে করোনা সংক্রমণ হতে পারে। নিজে বাজার করুন কিংবা হোম ডেলিভারি নেন- বাজারের ব্যাগ, খাবারের মোড়ক কিংবা কাঁচা তরকারির ওপরে করোনাভাইরাস পড়ে থাকতে পারে। যা স্পর্শ করলে এবং হাত পরিষ্কার না করলে আপনিও আক্রান্ত হতে পারেন করোনাভাইরাসে। তাই বাইরে থেকে আনা যেকোনো জিনিস স্পর্শ করার পরই সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

২. খাবারের মোড়ক ময়লার ঝুঁড়িতে ফেলে দিতে হবে। খাবারের কৌটা খোলার আগে তার বাইরের অংশে জীবাণুনাশক প্রয়োগ করে মুছে নিতে হবে। কাঁচা তরকারি ধুতে হবে বহমান পানিতে। সম্ভব হলে সেখানেও সাবান ব্যবহার করতে পারেন। এরপর হাত ধুয়ে ফেলুন।

৩. রান্না ও খাবার পরিবেশনের আগে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৪. মাছ, মাংস কাটার জন্য আলাদা ‘চপিং বোর্ড’ ব্যবহার করুন।

৫. যেসব খাবার নষ্ট হতে পারে তা ফ্রিজে রাখুন। মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৬. ঘরের বর্জ্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। একটি ব্যাগে সব বর্জ্য বেঁধে ফেলা উচিত।

৭. খাবার পরিবেশন ও খাওয়ার আগে থালা-বাসন-চামচ পরিষ্কার করে নিতে হবে। ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এছাড়া পরিবারের সব সদস্যের হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন।

 

সুত্রঃ যুগান্তর