ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ম্যাচে লিটন দাসের খতিয়ান

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

লিটন দাস ২০১৫ সাল থেকেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলছেন।টেস্ট দিয়ে শুরু হয়েছে তাঁর ক্যারিয়ার।কিন্তু ধীরে ধীরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের উপযোগী হয়ে ওঠেন তিনি।২৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে লিটন দাস ৫৮৪ রান তোলেন। সর্বোচ্চ ১২১ রান।

পুরো ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তিনি ১টি সেঞ্চুরি ও ২টি অর্ধশতক করেন।২০১৮ সাল থেকে মূলত দলে নিয়মিত হয়েছেন এই ক্রিকেটার।

কিন্তু তাঁর পারফরম্যান্স গ্রাফ বেশ উত্থান-পতনের মধ্য দিয়েই গিয়েছে।২০১৬ সালে লিটন দাস কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি।এই তিনটি ম্যাচই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে খেলেন।২০১৮ সালে লিটন দাস জাতীয় দলে থিতু হন মূলত।যদিও গড় খুবই কম ছিল পুরোটা সময়জুড়ে।লিটনের ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ১২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন ২০১৮ সালে।

এসময় ৩৪০ রান তোলেন তিনি ২৮.৩৩ গড়ে। সর্বোচ্চ ১২১ রান তোলেন।মূলত এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে তার করা ১২১ রানের ইনিংসটিই তাকে দলে নিয়মিত করার খোরাক যোগায়।

লিটন দাসের সিঙ্গেল ডিজিট ইনিংস

এশিয়া কাপ ২০১৮ তে ৩০ গড়ে ৬ ম্যাচে ১৮১ রান তোলেন লিটন দাস।এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮৩ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন লিটন দাস।

কিন্তু তার ক্যারিয়ার জুড়ে এক অঙ্কের রান করা ইনিংসের কারণেই বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে।

এর প্রভাব পড়েছে গড়েও লিটন দাসের ক্যারিয়ার গড় ২১.৬২।যেমন ২০১৯ সালে লিটন দাসের মোট রান ৪ ম্যাচে ৭৯, আর সর্বোচ্চ ৭৬।বাকি তিন ম্যাচে এক রান করে করেছেন লিটন দাস।২৮ ইনিংসের ক্যারিয়ারে মোট ১৫টি ইনিংসে করেছেন তিনি ০-১০ এর ঘরের রান।০-২০ এর ঘরে লিটন দাস রান করেছেন ১৮টি ইনিংসে।৩০ এর বেশি রান করেছেন ৭টি ইনিংসে।

ঘরোয়া ক্রিকেটে লিটন দাস

২০১৭ সালের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লিটন দাসের রান ছিল ৭৫২।৫৩.৭১ গড়ে এই রান তোলেন লিটন দাস যা এই ওয়ানডে আসরের সর্বোচ্চ রান ছিল।২০১৪-১৫ মৌসুমেও ১৬ ম্যাচ ব্যাট করে ৬৮৬ রান তুলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন লিটন দাস।চলতি বছরের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লিটন দাস ৮ ম্যাচ ব্যাট করে ২৮৭ রান তোলেন ৩৫.৮৭ গড়ে।লিটন দাস তার লিস্ট এ ক্যালিয়ারে ১০২ ইনিংস ব্যাট করে ৩৬৯৫ রান তুলেছেন, গড় ৩৭.৭০, সর্বোচ্চ ১৪৩ অপরাজিত।

বিশ্লেষকরা কী বলছেন লিটন দাসকে নিয়ে

সাথিরা জেসি, যিনি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের একজন ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট বিশ্লেষক, তার মতে ঘরোয়া ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্রিকেটারদের এমন তারতম্য থাকাটাই স্বাভাবিক।

“জাতীয় দলে যেটা হয় আপনি আপনার জায়গা নিয়ে নিশ্চিত নন, সেক্ষেত্রে আপনাকে বাড়তি প্রেসার নিতে হয়, মাথায় সেটা কাজ করে, কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে সহজে জায়গা হারায় না মোটামোটি ভালো ক্রিকেটাররা, এটা একটা বড় ব্যাপার, মানসিক চাপ নিয়ে যেকোনো জায়গায় খেলা কঠিন, তবে মানসিক চাপটা জয় করাটাও ভালো ক্রিকেটারের লক্ষণ,” বলছিলেন সাথিরা জেসি।

“নিজেদের পরিবেশ নিজেদের পরিচিতদের মধ্যে খেলাটা অনেক সহজ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম একটা খেলা।”