বিমানবন্দরে আবারো পিস্তলসহ প্রবেশ, ধরা পড়লোনা স্ক্যানারে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গত ২৪শে ফেব্রুয়ারিতে খেলনা পিস্তল নিয়ে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা এবং সত্যিকার পিস্তল নিয়ে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের বিমানবন্দরে প্রবেশের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো একই রকম ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

শুক্রবার সকালে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে প্রথম চেকিং পার হওয়ার পর নিজের সঙ্গে অস্ত্র থাকার কথা সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তকর্মীকে জানান মামুন আলী নামে এক যাত্রী।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস ১৩১ ফ্লাইটে সিলেটে যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে আসেন মোহাম্মদ মামুন আলী। তার সঙ্গে পিস্তল এবং সাত রাউন্ড গুলি ছিল। তবে পিস্তল থাকার কথা ঘোষণা না দিয়েই ভেতরে প্রবেশ করেন তিনি। অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের প্রথম গেটের আর্চওয়েতে তার শরীর তল্লাশি করেন আনসার সদস্য রিপন।

তবে আর্চওয়ে পার হওয়ার পরেও নিরাপত্তা কর্মীরা মামুনের সঙ্গে থাকা অস্ত্র শনাক্ত করতে পারেননি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তখন মামুন নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে জানতে চান, ‘আপনাদের চেকিং কি শেষ হয়েছে? জবাবে ওই আনসার সদস্য ‘হ্যাঁ’ বললে যাত্রী মামুন বলেন, ‘আপনি কী চেক করলেন, আমার কাছে তো পিস্তল আছে।’

এরপর তিনি পিস্তল বের করেন এবং লাইসেন্সও দেখান। কিছুক্ষণ পর সেখানে উপস্থিত হন বিমানবন্দরের এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকী। তখন ওই যাত্রীকে অফলোড করার জন্য এভসেক থেকে ইউএস-বাংলাকে বলা হয়। তবে লিখিত কোনো ডকুমেন্ট না দেওয়ায় মামুন আলীকে অফলোড করেনি ইউএস-বাংলা। পরে নিয়ম মেনেই পিস্তল এবং গুলি সঙ্গে নিয়ে ওই বিমানেই সিলেটে যান মামুন।

মামুন আলী নিজেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন। তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে ভাইস চেয়ারম্যানের কোনও পদ নেই বলে জানান সংস্থাটির সচিব হিরন্ময় বাড়ৈ। তাছাড়া মামুন আলী নামে সেখানে কেউ নেই বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে এভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যাত্রী অস্ত্র থাকার বিষয়টি আগে ঘোষণা দেননি। তবে নিরাপত্তা কর্মীরা অস্ত্র শনাক্ত করার পর তাকে যথাযথ নিয়মে অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। বিভিন্ন সময়ে অনেকেই অস্ত্র সঙ্গে থাকলেও ঘোষণা দেন না, পরবর্তীতে স্ক্যানিংয়ে তা ধরা পড়ে।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এম মহিবুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এক শ্রেণির মানুষ মিডিয়া কাভারেজ পাওয়ার জন্যে এই হীন প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে শুরু করেছে। বেবিচককে বিতর্কিত করে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করা এর উদ্দেশ্য বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, এ ধরনের তামাশা করা সমীচীন নয়। ঘোষণা না দিয়ে অস্ত্র নিয়ে বিমানে ওঠার ধৃষ্টতা না দেখানোই ভালো।