রাত পোহালেই ভোট, তবু কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ নেই জয়পুরহাটের ভোটারদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট:
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে জয়পুরহাটের পাঁচটি উপজেলাতে আগামী ১০ মার্চ রোববার দিনব্যাপি ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতমধ্যে জেলার পাঁচটি উপজেলাতে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে। রাত পোহালেই শুরু হবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠান। আজ বাদে কাল ভোট, তবু কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে আগ্রহ নেই ভোটারদের। ভোটের কোন ইমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা এ জেলার ভোটারদের মাঝে।

জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে দুটি উপজেলাতে চেয়ারম্যান পদে কোন প্রার্থী না থাকায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনিত দুইজন প্রার্থী। তারা হলেন, জেলার সদর উপজেলায় এস এম সোলায়মান আলী এবং পাঁচবিবি উপজেলায় মনিরুল শহীদ মন্ডল। এই দুই উপজেলাতে ভাইস ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অপর দিকে জেলার কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলাতে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলার কালাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের মিনফুজুর রহমানের সাথে জাসদের তরিকুল ইসলাম মিলন ও স্বতন্ত্র হিসেবে জহুরুল ইসলাম সবুজ, ক্ষেতলাল উপজেলায় আওয়ামী লীগের মোস্তাকিম মন্ডলের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী তাইফুল ইসলাম তালুকদার এবং আক্কেলপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের মোকছেদ আলী মন্ডলের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুস ছালাম আকন্দ ও জাসদের আবুল খায়ের মোঃ সাখাওয়াত হোসেন এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এই নির্বাচনে জেলার পাঁচটি উপজেলাতে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের কোন প্রার্থী অংশগ্রহন করেনি।

জেলার পাঁচটি উপজেলার ভোটারেরা বলছেন, রাত পোহালেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু আজও প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের কোন সাড়াশব্দ নেই বললেই চলে। আগে এ ধরনের নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতেন এবং নম্র ও ভদ্র ভাবে বিনয়ের সুরে ভোট চাইতেন। ভোটাররাও ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাদের ভোট প্রয়োগ করতেন। কিন্তু এই ভোটে কোন ইমেজ নেই ভোটারদের মাঝে। আজ পর্যন্ত কোন প্রার্থীকে ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে দেখাও যায়নি। এবার এমন কোন দৃশ্য চখেও পড়েনি।

আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের নেতা স্বাধীন বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে এখন পর্যন্ত তেমন কোন আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি। অথচ আজ অন্তর কাল ভোট গ্রহন।

কালাই উপজেলার ভ্যানচালক মজিবর রহমান, চাতাল ব্যবসায়ী কামরুল হাসান ও স্থানীয় এনজিও কর্মী মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, গত বছরের শেষ দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলাম কিন্তু ভোট দিতে পারিনি। কারন সেখানে পৌঁছার আগেই আমাদের ভোট দেওয়া হয়েছে। এমন কথা শুনে ভোট না দিয়েই আমরা সকলে ফেরত এসেছি। এবারও তাই হবে। এমই ভেবে আছি। ভোট দিতে কেন্দ্র যাবো কি না, তা এখনও ভাবিনি। তাছাড়া আমাদের নিকট কেউ ভোটও চায়নি। যাচে যাওয়ার চাইতে না যাওয়াই ভাল দেখছি।

ক্ষেতলাল উপজেলার মুন্দাইল গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, এমপির ভোটে ভোট দিতে পারিনি। এবার কি হবে তা আসলে ভোটের দিনেই বোঝা যাবে। পরিবেশ-পরিস্থিতি ভাল হলে কেন্দ্রে যাবো, না হলে নাই।

স/অ