৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘রাজশাহীতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার পুনর্বাসন’

নিজস্ব প্রতিবেদক:


৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘রাজশাহী মহানগরীতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার পুনর্বাসন’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। ওয়াসা এলাকায় বসানো হবে নতুন পাইপ, নতুন স্থাপন ও সংস্কার করা হবে পাম্প। এতে করে রাজশাহী ওয়াসা এলাকার পানির সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি ২০২৩ সাল পর্যন্ত পানির চাহিদা পূরণ সম্ভব বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৩ সালে রাজশাহী ওয়াসা এলাকায় পানি চাহিদা হবে ১৩ কোটি ৫০ লাখ লিটার। ওয়াসার আওয়তায় ১৩৩ কিলোমিটার নতুন পাইপ লাইন বসানো হবে। এর মধ্যে ৯৫ কিলোমিটার নতুন ও ৩৮ কিলোমিটার পুরাতন পাইপ তুলে নতুন পাইপ বসানো হবে। এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা গেলে নগরীতে পানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতান আব্দুল হামিদ (অতিরিক্ত সচিব) জানান, পানির চাহিদা প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ‘রাজশাহী মহানগরীতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার পুনর্বাসন’ এটি তিন বছরের প্রজেক্ট। জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। এর আওয়তায় বসানো হবে নতুন পাইপ, পাম্প ও গভীর নলকূপ। এছাড়া রাজশাহী সিটি করপরেশন এলাকার নতুন সড়কগুলোর পাশ দিয়ে পাইপ বসানো হবে। নগরীর দু’টি নতুন আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরও জানান, রাজশাহী রেলগেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত চার লেনের ১০ কিলোমিটার সড়ক হবে। এই সড়কের পাশ দিয়ে পানির পাইপ বসানো হবে। এছাড়া ৩০টি নতুন পাম্প স্থাপন করা হবে। ৬০টি পাম্প মটার কেনা হবে ও পুরাতন ৭টি পাম্প হাউস সংস্কার করা হবে। ৮০টি উৎপাদক নলকূপ রি-জেনারেশন করা হবে।

সুলতান আব্দুল হামিদ আরও জানান, নগরীর উপকণ্ঠ শ্যামপুরে শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান পানি শোধনাগারেও বেশকিছু কাজ হবে। এর ক্ষমতা ২ কোটি ৭০ লাখ লিটার পানি শোধন করা। কিন্তু বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ৯০ লাখ লিটার। এই শোধনাগারকে আগের অবস্থানে নিতে সংস্কারের কাজ করা হবে। এ লক্ষে ১২ নতুন পাম্প মটার প্রতিস্থাপন করা হবে। এছাড়া পানি রির্জাভের পুকুরটিও সংস্কার করা হবে। প্রতিস্থাপন করা হবে ফিল্টার। এতে অতিরিক্ত চার কোটি ৫০ লাখ লিটার পানি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এতে ২০২৩ সালের ১৩ কোটি ৫০ লাখ লিটার পানির চাহিদা পূরণ হবে।

রাজশাহী ওয়াসার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী ওয়াসা বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান শাহিন আকতার রেণীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

স/আ