সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বগুড়ায় সাতবছর আগে খুন হওয়া শামীম (২৬) নামে এক যুবককে হঠাৎ দেখা গেছে সাইকেল চালিয়ে ঘোরাফেরা করতে। অথচ তাকে খুনের মামলায় সাড়ে চার মাস জেল খেটেছেন আজিজার রহমান (৩১) নামে এক ব্যক্তি। সাত বছর ধরে আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়েও আসছেন তিনি।
দীর্ঘ বছর পর সোমবার সকালে হঠাৎ শামীমের দেখা মিলেছে বগুড়ার সদর উপজেলার মানিকচক এলাকায়। তাকে জীবিত দেখা গেছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শতশত গ্রামবাসী তাকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করেছিলেন। বর্তমানে শামীম বগুড়া সদর থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
শামীম সদর উপজেলার শাখারিয়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম শাহিন। আর আজিজার রহমান পার্শ্ববর্তী এলাকা মানিকচকের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত ধলু প্রামাণিক। আজিজার পেশায় শহরের বড়গোলা এলাকার একটি মুদির দোকানে কর্মচারী।
আজিজার রহমানের বলেন, ‘শামীমের কাছ থেকে এক লাখ টাকা পাওনা ছিল আমার। সাত বছর আগে শামীমকে টাকা জন্য চাপ দেই। ওই সময়ই শামীম গ্রাম থেকে উধাও হয়ে যায়। পরে আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন শামীমের মা ঝর্ণা বেগম।’
তিনি আরো বলেন, ‘শামীম হত্যা মামলাাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আমি এ মামলায় সাড়ে চারমাস জেল খেটেছি। এখনো নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছি। সোমবার সকালে মানিকচক এলাকায় শামীমকে বাইসাইকেল চালিয়ে ঘোরফেরা করতে দেখা যায়। পরে আমার ছোটভাই তাকে আটক করে। পরবর্তীতে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে তাকে (শামীম) থানায় নিয়ে যায়।’
বগুড়ার সদর থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, ‘শামীম বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছেন। আর হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সূত্র: কালের কন্ঠ