৬% প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতির দেশে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক। চলতি বছর দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে যাচ্ছে অন্তত ৬%, আর এই গতির ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।

ভারতীয় গণমাধ্যম দি প্রিন্ট এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার পরিকল্পনামন্ত্রী মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান এক সাক্ষাৎকারে দি প্রিন্টকে বলেন, ৩০ জুন পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি কমে ৬-৭% পর্যন্ত হতে পারে।

পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্য ৮.২%  এর চেয়ে এটি কম, ১ বছর আগে এই লক্ষ্য ছিল ৮.১৫%। তবে বিশ্বের হিসেবে এটাই সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধি। করোনাভাইরাসের কারণে, অনেক দেশই এখন মন্দায় পড়েছে।

অবশ্য পোশাক রপ্তানির জন্য যে দেশটিকে বৈশ্বিক চাহিদার উপর অনেক বেশি নির্ভর করতে হয় বলে এতে বাংলাদেশের আনন্দের কিছু নেই।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল অবশ্য এতটা আশাবাদী নয়, তাদের হিসেবে ২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যে প্রবৃদ্ধি হতে যাচ্ছে ৩.৮ শতাংশ।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পরিষ্কারভাবেই প্রবৃদ্ধি অনেক কম, আগে যতটা ধারণা করা হয়েছিল তার চাইতে অনেক কম। আমাদের এখন অগ্রাধিকার বুঝতে হবে, কোন খাতে বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন।

দেশের রপ্তানি আয়ের ৮০% এর বেশি আসে তৈরি পোশাক কারখানা থেকে, আর এই শিল্প এখন একের পর এক অর্ডার বাতিলের ঘটনায় বিপর্যস্ত।

বিজিএমইএর তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ক্রেতারা মার্চ মাস থেজে প্রায় ৩.২ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার হয় বাতিল করেছে, নয় স্থগিত করেছে।

মহামারি ঠেকাতে দুই মাস ধরে চলা লকডাউনে অন্যান্য শিল্পখাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

করোনাভাইরাস আমাদের মারাত্মক ক্ষতি করেছে উল্লেখ করে আব্দুল মান্নান আরো বলেন, এই মুহুর্তে পুনরায় সব কাজ শুরু করা খুব জরুরি। এটা একটা তেতো ওষুধের মত।

জুনের ১১ তারিখে বাজেট প্রস্তাব হওয়ার কথা রয়েছে। এতে অর্থনীতির অন্যান্য খাতগুলোকে সহায়তা দেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে৷

মান্নান বলেন, আগামী বাজেটে ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে, কেননা স্বাস্থ্য, কৃষি, সড়ক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে আরো বেশি অর্থ দরকার।

সূত্র: দি প্রিন্ট।