৫ কেজির তরমুজের দাম ছুঁলো ৫০০ টাকা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। অথচ রমজান মাসের শেষ দিকে হঠাৎ বেড়েছে তরমুজের দাম। কেজি দরে বিক্রি না হলেও বাজারে চার থেকে পাঁচ কেজি ওজনের একেকটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা দরে। তিন-চার কেজি ওজনের তরমুজ মিলছে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর শম্ভূগঞ্জ বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারের তরমুজ বিক্রেতা নাইম মিয়া বলেন, রমজান মাস শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। বাজারে তরমুজের চাহিদা বেড়েছে। তবে আমদানি কম। এ কারণেই দাম কিছুটা বাড়তি। এখন তরমুজ পিস হিসেবেও বিক্রি হচ্ছে। আমার দোকানে ২৫০ টাকার কমে কোনো তরমুজ নেই। প্রতিটি তরমুজের ওজন আড়াই থেকে তিন কেজি হবে।

একই বাজারের রফিকুল ফল ভাণ্ডারের বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার দোকানে ৫০০ টাকার নিচে কোনো তরমুজ নেই। পিস হিসেবে বিক্রি করছি। একেকটি তরমুজ চার-পাঁচ কেজির কম হবে না।

ওই দোকানের সামনে কথা হয় আকাশ মিয়া নামের একজন পোশাকশ্রমিকের সঙ্গে। তিনি চাকরি করেন গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকার একটি পোশাক কারখানায়। আকাশ মিয়া বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। বাড়িতে মা-বাবা, ভাই-বোন আছে। তাদের জন্য ৫০০ টাকা দিয়ে তরমুজ কিনেছি। এর নিচে কোনো তরমুজ নেই।

সেখানে কথা হয় আরেক পোশাকশ্রমিক এনামুল হকের সঙ্গে। তিনি চাকরি করেন গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকার একটি পোশাক কারখানায়। তিনি বলেন, ঈদে বাড়ি ফিরছি। পরিবারের সবাই অপেক্ষা করছে। তাই পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু ফলমূল কিনেছি। কিন্তু, হঠাৎ করে ফলমূলের দাম বেড়ে গেছে। একটি তরমুজ কিনেছি ৫০০ টাকায়। ওজন হবে চার কেজির মতো।

শম্ভূগঞ্জ বাজারের আরেক তরমুজ বিক্রেতা মজিবর রহমান বলেন, আমি প্রতি পিস তরমুজ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিক্রি করছি। হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তরমুজের উৎপাদন ও আমদানি কমে গেছে। কিন্তু বাজারে তরমুজের চাহিদা বেশি। এসব কারণে দাম বেড়েছে।

মজিবুর রহমানের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা হয় এমদাদুল হক নামের এক যুবকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েরা বায়না ধরেছে তরমুজ খাবে। তাই তরমুজ কিনতে এসেছি। কিন্তু দাম অনেক বেশি। তারপরও বাধ্য হয়ে ৩০০ টাকায় একটা তরমুজ কিনেছি।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পুলক কান্তি চক্রবর্তী বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।