৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের জন্যই ছিনতাই নাটক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর অলকার মোড়ে দিন-দুপুরে ৩৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। টাকা আত্মসাতের জন্যই এ নাটক সাজানো হয়েছিল বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। আটককৃতরা হলো, ভিভো কম্পানীর কর্মচারী ফয়সাল ও সোহেল এবং তাদের সহযোগী ডলার হোসেন।

আটককৃতরা হলো, ভিভো শো-রুমের কর্মচারী নগরীর নওদাপাড়া এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান ফয়সাল ও গোদাগাড়ীর পলাশি এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে জাফর ইকবাল ও নগরীর নওদাপাড়া এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে তাইজুল ইসলাম ডলার। তারা স্বীকারোক্তি ছিনতাই হওয়া ৩২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। সাজানো ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রচার করে এই টাকাগুলো তারা আত্মসাতের চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলেও স্বীকারোক্তি দেন আটক হওয়া তিনজন।

প্রত্যক্ষদর্শী ভাষ্যমতে, অলোকার মোড়ের ভিভো নামের একটি মোবাইল শো-রুম থেকে টাকা নিয়ে দু’জন কর্মচারী ডাচ বাংলা ব্যাংকে জমা দিতে যাওয়ার সময় এ ঘটনাটি ঘটে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় দু’জন কর্মচারী টাকা নিয়ে ব্যাগ কাঁধে করে পায়ে হেঁটে রাস্তার মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুজন আরোহী একজনের ডান কাঁধে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। ছিনতাইয়ের শিকার দুই কর্মচারী মোটরসাইকেল চালকদের পেছন পেছন ধাওয়া করেন। তবে তার আগেই তারা পালিয়ে যায়।

আটককৃতরা হলো, ভিভো শো-রুমের কর্মচারী নগরীর নওদাপাড়া এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান ফয়সাল ও গোদাগাড়ীর পলাশি এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে জাফর ইকবাল ও নগরীর নওদাপাড়া এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে তাইজুল ইসলাম ডলার।

বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘এতো বড় একটা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি নিয়ে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তবে ঘটনাটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে আমাদের। কারণ ঘটনাস্থল থেকে ব্যাংকের দূরুত্ব পায়ে হেঁটে গেলেও মাত্র এক মিনিট। সেই পথে দুই কর্মচারী টাকা নিয়ে ফুটপাথ ধরে না গিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে কেন গেলো-এটি নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এরপর দুই কর্মচারীকে আটক করে তাদের স্বীকারোক্তি মতে আরও একজনকে আটক করা হয়। সেঙ্গে ৩২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন…

রাজশাহীতে ব্যস্ততম রাস্তায় ৩৩ লাখ টাকা ছিনতাই নিয়ে সন্দেহ, দেখুন ভিডিও