রাজশাহীতে ব্যস্ততম রাস্তায় ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাই নিয়ে সন্দেহ, দেখুন ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী নগরীর অলকার মোড়ে ব্যস্ততম রাস্তার মাঝখানে দিন-দুপুরে ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ তৈরী হয়েছে পুলিশের মাঝে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এই ঘটনাটি সাজানো হতে পারে বলেই ধারণা করছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ছিনতাইয়ের শিকার দুই কর্মচারীদের ভাষ্যমতে, অলোকার মোড়ের ভিভো নামের একটি মোবাইল শো-রুম থেকে টাকা নিয়ে দু’জন কর্মচারী ডাচ বাংলা ব্যাংকে জমা দিতে যাওয়ার সময় এ ঘটনাটি ঘটে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় দু’জন কর্মচারী টাকা নিয়ে ব্যাগ কাঁধে করে পায়ে হেঁটে রাস্তার মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুজন আরোহী একজনের ডান কাঁধে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। ছিনতাইয়ের শিকার দুই কর্মচারী মোটরসাইকেল চালকদের পেছন পেছন ধাওয়া করেন। তবে তার আগেই তারা পালিয়ে যায়।


মোবাইল শো-রুমের মালিক রিঙ্কু হোসেন জানান, মোট ৩৭ লাখ টাকা নিয়ে দুই কর্মচারী দোকান থেকে এক মিনিটের হাঁটাপথ ডাচ বাংলা ব্যাংকে যাচ্ছিলেন। এর মাঝখানেই এই ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। তবে ছিনতাইকারীরা ফয়সাল নামের এক কর্মচারীর কাঁধের ব্যাগে রাখা ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। একজন কর্মচারী ওই ব্যগটি কাঁেধ করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আরেকটি ব্যাগে ছিলো ২ লাখ টাকা। সেই ব্যাগটি নিতে পারেনি।

বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘এতো বড় একটা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি নিয়ে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তবে ঘটনাটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে আমাদের। কারণ ঘটনাস্থল থেকে ব্যাংকের দূরুত্ব পায়ে হেঁটে গেলেও মাত্র এক মিনিট। সেই পথে দুই কর্মচারী টাকা নিয়ে ফুটপাথ ধরে না গিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে কেন গেলো-এটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আবার মোবাইল শো-রুমের দুই মালিক এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস নিয়েও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।’

ওসি আরও বলেন, ‘টাকার ব্যাগটি ডান পাশের কাঁধে ছিল। অথছ বাম পাশেই নেওয়া যেত। আবার একশ টাকার নোটের দুই লাখ টাকার ব্যাগটি ছিনতাই হলো না। হলো শুধু ৩৫ লাখের টা। আবার গত এক সপ্তাহে এই মোবাইল শো-রুমটি এক কোটি টাকার বেচা-কেনা করেছে বলে হিসেব দিয়েছে। যাও সন্দেহজনক। এতো টাকার ব্যবসা রাজশাহীতে হয় বলে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।’

ওসি আরও বলেন, ‘দুই কর্মচারীর নিকট থেকে দ্’ুজরন মোটরসাইকেল আরোহী টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেল কোনো বাধা ছাড়ায়। তাদের ওপর কোনো হামলাও হয়নি। আবার ঘটনার সময় রাস্তায় অনেকটা জ্যাম ছিল। সেই অবস্থায় দুই কর্মচারী চিৎকার করলেও মোটরসাইকেল আরোহী ছিনতাইকারীদের ধরে ফেলতে পারতেন রিকশা চালকরাই। এসব দিক বিবেচনা করে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি অনেকটা পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে। তার পরেও পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করছে।’

দেখুন ভিডিও:

 

স/আর