২১তম তারাবিতে আজ যা পড়া হবে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আজ ২১তম তারাবিতে সূরা জুমার চতুর্থ রুকু থেকে শেষ পর্যন্ত পঠিত হবে। সঙ্গে পড়া হবে সূরা মোমিন পুরো অংশ এবং সূরা হামিম সেজদার ষষ্ঠ রুকুর প্রথম দুই আয়াত পর্যন্ত। পারা হিসেবে আজ পড়া হবে ২৪তম পারা।

৩৯. সূরা জুমার : ৩২-৭৫

চতুর্থ রুকু। ৩২ থেকে ৪১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে ওই ব্যক্তির চেয়ে বড় জালেম আর কে আছে যে, আল্লাহর নামে মিথ্যা বলে অথবা সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে? প্রকৃত আল্লাহভিরু তো তারাই যারা সত্যকে গ্রহণ করে।পঞ্চম রুকু। ৪৩ থেকে ৬৩ নম্বর আয়াতে অবিশ্বাসীদের জন্য আল্লাহ তায়ালা তার নিদর্শনের বর্ণনা দিয়ে তাদেরকে ইমানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ষষ্ঠ রুকু। ৫৩ থেকে ৬৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ মানুষকে হতাশ না হয়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে বলেছেন। আল্লাহর আজাব আসার আগেই ফিরে আসলে বাচা যাবে। নয়তো ধ্বংস অনিবার্য।সপ্তম ও অষ্টম রুকু। ৬৪ থেকে ৭৫ নম্বর আয়াতে বিশ্বাসী-অবিশ্বাসীদের হাশর-কেয়ামতের বর্ণনা দিয়ে সূরার সমাপ্তি টানা হয়েছে।

৪০. সূরা মোমিন : ১-৮৫

সূরা মোমিন। নাজিল হয়েছে মক্কায়। আয়াত সংখ্যা ৮৫। রুকু সংখ্যা ৯। আজকের তারাবিতে পুরো সূরাই পঠিত হবে।

প্রথম থেকে তৃতীয় রুকু, ১ থেকে ২৭ নম্বর আয়াত। সূরা শুরু হয়েছে আল্লাহর মাহাত্ম্য বর্ণনা করে। এরপরপরই সত্য অস্বীকারকারীদের লক্ষ্য করে বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে। মাঝে মাঝে সত্যাশ্রয়ী বান্দাদের জন্য হেদায়াত করা হয়েছে।

চতুর্থ ও পঞ্চম রুকু। ২৮ থেকে ৫০ নম্বর আয়াতে ফেরাউন ও তার সময়ের এক মোমিন বান্দার কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে।

ষষ্ঠ রুকু। ৫১ থেকে ৬০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলছেন, অতীতে যেমনিভাবে বিশ্বাসী বান্দাদের তিনি সাহায্য করেছেন, যুগে যুগে এভাবেই তিনি তার নবী ও বান্দাদের সাহায্য করতে থাকবেন। তাই আল্লাহর কাজ বন্ধ না করে ধৈর্যের সঙ্গে চালিয়ে যাওয়া বান্দার কর্তব্য।সপ্তম রুকু। ৬১ থেকে ৬৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহর কুদরতের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

অষ্টম ও নবম তথা শেষ রুকু। ৬৯ থেকে ৮৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বান্দাকে আরো কিছু নেয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি ইমান গ্রহণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইমান না আনলে পরকালে কেমন আজাব অপেক্ষা তা বলে সূরার সমাপ্তি টানা হয়েছে।

৪১. সূরা হামিম সেজদা : ১-৪৬

সূরা হামিম সেজদা। নাজিল হয়েছে মক্কায়। আয়াত সংখ্যা ৫৪ এবং রুকু সংখ্যা ছয়। আজ পঠিত হবে ষষ্ঠ তথা শেষ রুকুর প্রথম দুই আয়াত পর্যন্ত।

প্রথম রুকু, ১ থেকে ৮ নম্বর আয়াত। কোরআনের মাহাত্ম্য এবং কাফেরদের আপত্তির জবাব দিয়ে সূরা সূচনা হয়েছে।দ্বিতীয় রুকু। ৯ থেকে ১৮ নম্বর আয়াত। আল্লাহর সৃষ্টি নিদর্শন বর্ণনার পর আদ ও সামুদ সম্প্রদায়ের হঠকারিতা আলোচনা করা হয়েছে।

তৃতীয় রুকু, ১৯ থেকে ২৫ নম্বর আয়াত। হঠকারি সম্পদ্রায়ের শাস্তি কত কঠোর হবে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

চতুর্থ রুকু, ২৬ থেকে ৩২ নম্বর আয়াত। এ নবীর হঠকারী উম্মত কোরআনের বিরুদ্ধে কী ষড়যন্ত্র করেছে তা ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে।

পঞ্চম রুকু, ৩৩ থেকে ৪৪ নম্বর আয়াত। দাওয়াত ও দায়ীর মূলনীতি বর্ণনা করা হয়েছে বিস্তারিতভাবে।

ষষ্ঠ রুকুর প্রথম দুই আয়াত, ৪৫ ও ৪৬ নম্বর আয়াত। আল্লাহ কখনো বান্দার ওপর জুলুম করেন না। বরং বান্দা নিজেই নিজের ওপর জুলুম করে- একথা বলা হয়েছে স্পষ্ট করে।