২০২৩ সালের মধ্যে সারাদেশে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট

আগামী বছরের (২০২৩ সালের) মধ্যে দেশের দুর্গম, পার্বত্য অঞ্চল, দ্বীপ, চর, বিল ও হাওরসহ প্রতিটি জনপদে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কেবল আগামী দিনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাই করবে না, চতুর্থ-পঞ্চম শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্বও দেবে। এসময় দেশের শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত ডিজিটাল অবকাঠামোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সাভারে সিটি ইউনিভার্সিটির সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির নবীনবরণ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি করে দিয়েছি। এই অবকাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের জীবনযাপন ও শিক্ষাব্যবস্থা বদলে যাবে। ডিজিটাল অবকাঠামো নতুন প্রজন্মের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীতে সবার আগে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামের আগে ডিজিটাল শব্দটি যুক্ত করেছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে ব্রিটেন, ২০১৪ সালে ভারত, ২০১৫ সালে মালদ্বীপ এবং ২০১৯ সালে পাকিস্তান ডিজিটাল শব্দটি ব্যবহার করে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের পাশাপাশি কুদরত-ই খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন, কারিগরি শিক্ষা প্রসার, ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, টিঅ্যান্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউ ও ইউপিইউর সদস্যপদ অর্জন এবং বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের যে বীজটি বপন করে গেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে তা চারাগাছে রূপান্তর করেন। এরপর গত ১৩ বছরে উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

মন্ত্রী নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন, তোমরাই সে সোনার মানুষ। তোমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে এবং এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।

আগামী শিল্প যুগের প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের ৭০ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে তৈরি করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মোস্তাফা জব্বার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিটি ইউনিভার্সিটির সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. হুমায়ুন কবির। বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ও সিটি ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ-ই- আলম সহ অন্যান্যরা।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ