১৫ নয়, সর্বোচ্চ ভ্যাট ১০ শতাংশ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

১৯৯১ সাল থেকেই সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট পরিশোধ করে আসছে ভোক্তারা। প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাটের এ হারে পরিবর্তন এনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার। আগামী অর্থবছর থেকে পণ্য ও সেবাভেদে ২ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত মোট পাঁচটি স্ল্যাব করা হয়েছে ভ্যাটের হারে।

ভ্যাটের ক্ষেত্রে মানুষকে স্বস্তি দেয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া। সেই সঙ্গে ভ্যাটের হার বহুস্তর করার কথাও বলেছিলেন তিনি। অবশেষে গতকাল বাজেট বক্তৃতায় তারই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, এনবিআর কর্তৃক আহরিত রাজস্বের মধ্যে ভ্যাট থেকেই সর্বোচ্চ আয় আসে সরকারের। প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাটের হার কমানো হলেও ব্যবসায়ী পর্যায়ে অটোমেশন ও অনলাইন রিটার্ন ব্যবস্থা করার কারণে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যপূরণ হবে।

২০১৯ সালে এক স্তরবিশিষ্ট নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক আইন বাস্তবায়নের আগে আগামী অর্থবছর থেকেই দুই স্তরের ভ্যাট করার কথা জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। তবে নির্বাচনের বছর হওয়ায় ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি না থাকায় শেষ পর্যন্ত তা থেকে সরে এসেছে সরকার। তবে ভ্যাটের বিদ্যমান নিম্নস্তরের চারটি ও উচ্চস্তরের পাঁচটিসহ মোট নয়টি হারের স্থলে এবার পাঁচটি স্ল্যাব করা হয়েছে। বর্তমানে নয়টি স্ল্যাবে দেড়, আড়াই, ৩, ৪, সাড়ে ৪, ৫, সাড়ে ৭, ১০ ও ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ করা আছে। এর পরিবর্তে আগামী অর্থবছরে পাঁচটি স্ল্যাবে ২, সাড়ে ৪, ৫, ৭ ও ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট আহরণ করা হবে।

এদিকে আগামী অর্থবছরে ভ্যাট আইনে অন্যান্য পরিবর্তনের মধ্যে ই-কমার্স সেবার ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ হয়েছে হেলিকপ্টার সেবায়। সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে বিড়ি ও সিগারেটের ওপর। অন্যদিকে নির্বাচনী বছর হওয়ায় বাজেটে নতুন করে আরোপের চেয়ে ভ্যাটে ছাড়ের হারই বেশি থাকছে।