১২ দিনেও গ্রেফতার হয়নি অধ্যক্ষ লাঞ্ছনাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঘটনার ১২ দিনেও অধ্যক্ষ ফরিদউদ্দিনকে টেনে হিঁচড়ে পুকুরে ফেলার মামলার এজাহারভুক্ত আট আসামির কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যদিও অজ্ঞতনামার ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, মূল আসামিদের গ্রেফতার না হওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন, রাজশাহী পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ ফরিদউদ্দিন।

অধ্যক্ষ ফরিদউদ্দিন বলেন, আদো তারা ধরা পড়বে কিনা, না ধরা পড়লে তারা আবার এসে জেকে বসতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে যায়।’ তবে, রাজশাহী মহানগর পলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, মোট ১৩ আসামিকে কয়েক দফায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

এদিকে, গত শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ইনস্টিটিউটের মসজিদ থেকে যোহরের নাম শেষে করে অফিসে ফেরার ফিরছিলেন অধ্যক্ষ ফরিদউদ্দিন। এ সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ইনস্টিটিউটের অধ্যয়নরত ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেয়।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় এই ঘটনার নেতৃত্ব দেন রাজশাহী পলিটেকনিকের ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কালাম হোসেন সৌরভ। তার সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র ছিলো।
অধ্যক্ষ ফরিদউদ্দিন আহম্মেদ আরও বলেন, ‘নিয়ম বহির্ভুত ভাবে তারা সুবিধা চাই। দরিদ্র তহবিলের টাকা তাদের দিতে হবে। এছাড়া পরীক্ষার হল রুমে তাদের কর্মীদের মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে দিতে হবে। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করা হয় তাই এ ঘটনা।’

রাজশাহী পলিটেকনিকের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রহমান বলেন, ‘ছাত্রলীগ কখনো কোনো সস্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয়নি। কখনো দেবে না। যে অন্যায় করবে তার বিচার হবেই।’

তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা সবাই পলাতক রয়েছে। নিজ বাসা বাড়িতেও নেই তারা। সহ-সম্পাদক মারুফের মা শাবানা ইয়াসমিন বলেন, ‘বাপ (বাবা) সমতুল্য মানুষ। এগুলো করবে কেনো। আর আপরাধ করলে শাস্তিতে পেতেই হবে।’

স/আ