১০ বছর পর উয়েফা বর্ষসেরার চূড়ান্ত তালিকায় নেই মেসি-রোনালদো!

দীর্ঘ ১০ বছর পর উয়েফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা হয়নি লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নাম। আর এর মাধ্যমেই হয়তো মেসি-রোনালদোর একচ্ছত্র আধিপত্যের ইতি ঘটতে যাচ্ছে। বুধবার ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা গত মৌসুমের পারফরমেন্স বিবেচনায় বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে জায়গা করে নিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের দুই তারকা রবার্ট লিওয়ানদোস্কি ও ম্যানুয়েল ন্যয়ার এবং ম্যানচেস্টার সিটির কেভিন ডি ব্রুইনা।

আগামী ১ অক্টোবর উয়েফা বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করা হবে। ঐদিনই সুইজারল্যান্ডের নিঁওনে অবস্থিত সংগঠনটির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হবে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আসরের গ্রুপ পর্বের ড্র। লিওয়ানদোস্কি ও ন্যয়ার বায়ার্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ে অনবদ্য অবদান রেখেছেন। আগস্টে লিসবনে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বায়ার্ন ১-০ গোলে পিএসজিকে পরাজিত করে শিরোপা জয় করে। বুন্দেসলিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও জার্মান কাপ শিরোপা জয়ে পোলিশ তারকা লিওয়ানদোস্কি বায়ার্নের হয়ে গত মৌসুমে ৪৭ ম্যাচে করেছেন সর্বোচ্চ ৫৫ গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তিনি সর্বোচ্চ ১৫টি গোল করেছেন।

এদিকে গোলরক্ষক ন্যয়ারও বায়ার্নের ট্রেবল জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বেলজিয়ান প্লে মেকার ডি ব্রুইনা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ৩৩টি গোল এসিস্ট করেছেন, যে কারনে লিভারপুলের কাছে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা হারানো ও একই সাথে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে লিঁওর কাছে পরাজিত হওয়ার পরও এই সিটি তারকাকে বর্ষসেরার তালিকায় মনোনীত করা হয়েছে। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগের গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর ৮০জন কোচের সাথে নির্বাচিত ৫৫জন সাংবাদিকের ভোটে এই তালিকা তৈরী করা হয়। চতুর্থ সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে অল্পের জন্য সেরা তিন থেকে ছিটকে গেছেন বার্সা অধিনায়ক লিওনেল মেসি।

টানা পঞ্চমবারের মত লিঁওকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা উপহার দেওয়া ইংলিশ তারকা লুসি ব্রোঞ্জ দ্বিতীয়বারের মত বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় হিসেবে চূড়ান্ত তালিকায় ফেবারিট হিসেবেই জায়গা করে নিয়েছেন। সম্প্রতি অবশ্য তিনি ফ্রান্স ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে পাড়ি জমিয়েছেন। এই তালিকায় আরো রয়েছেন লুসির লিঁও সতীর্থ ফরাসী ডিফেন্ডার ওয়েন্ডি রেনার্ড ও ড্যানিশ স্ট্রাইকার পারনিলে হার্ডার।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ