১০ বছরের রোহিঙ্গা শিশুদেরও ধর্ষণ করেছে মিয়ানমারের সেনারা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ১০ বছরের কম রোহিঙ্গা শিশুদেরও ধর্ষণ করেছে। ধর্ষণের শিকার এসব শিশুদের বাংলাদেশ সীমান্তে চিকিৎসা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডার জানিয়েছে, কুতুপালং স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে যৌন ও প্রজণন স্বাস্থ্য ইউনিটে অর্ধশত রোহিঙ্গা কন্যা শিশুকে শাররীক ও মানসিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা নারীদের মধ্যে যারা ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশের বয়স ১৮ অথবা তার নিচে। এদের মধ্যে আবার একজনের বয়স নয় বছর এবং আরো কয়েকজনের বয়স ১০ বছরের নিচে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র।

সংস্থাটি দাবি করেছে, গত ২৫ আগস্ট থেকে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন অভিযান শুরু হওয়ার পর যারা যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এ সংখ্যাটা তার ভগ্নাংশ কেবল। অনেকে বাস্তবতা ও সাংস্কৃতিক বাঁধার কারণে চিকিৎসা নিতে আসেন নি।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারের কর্মকর্তা আরলিন পিফেইল বলেছেন, ‘নারী ও কিশোরীরা যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর লজ্জা, কলঙ্ক ও ভয়ের কারণে প্রায়ই চিকিৎসা নিতে আসেন না।’

সংস্থাটির আরেক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গ্রামের সব নারী-কিশোরীদের এক জায়গায় জমায়েত করতো। পরে তাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরীদের একে একে বেছে নিতো এবং ধর্ষণ করতো। এ কাজটি হয় কোনো একজন সেনা একাকী কিংবা কয়েকজনে দলবেধে করতো।

তিনি বলেন, ‘এদের মধ্যে অনেকেরই বয়স মাত্র ১২ অথবা ১৩ বছর।’

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, সম্প্রতি তিনি ধর্ষণের শিকার নয় বছরের এক শিশুকে পেয়েছেন, যাকে তিনজন সেনা ধর্ষণ করেছিল।

সূত্র: রাইজিংবিডি