হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩১৯ রান

ওয়েলিংটনে আজ শুক্রবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি তামিম ইকবালদের জন্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই। দুই ম্যাচ হারায় আগেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের।

আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩১৮ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। এতে জয় তুলে নেওয়ার লক্ষ্যটা বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিন।

১০ ওভারেই মাত্র ৩২ রানে প্রথম তিন উইকেট খুইয়ে ফেলে টাইগাররা।তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও লিটন দাসকে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে দেয়নি নিউজিল্যান্ডের বোলাররা।

এর মধ্যে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় লিটনের ক্যাচটি নেন ট্রেন্ট বোল্টের।ম্যাট হেনরির বলে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম।

লেংথে পড়া বলটি বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেটকিপার ও নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথামের গ্লাভসে। ৯ বলে ১ রান করে ফেরেন তামিম।

নিউজিল্যান্ডের শেষ ১০ ওভারে ১০৭ রান তোলায় অবদান আছে বাংলাদেশের ফিল্ডারদেরও। ক্যাচ ছাড়ার সঙ্গে ফিল্ডিংও ভালো হয়নি এ সময়। ৪৫তম ওভারে মিচেলের ক্যাচ নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ।

ম্যাচের অর্ধেক পথ পর্যন্তও বেশ চাপে ছিল নিউজিল্যান্ড। ২৫ ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১২৪। ডেভন কনওয়ে ও ড্যারিল মিচেলের ১৪৭ বলে ১৫৯ রানের জুটি পাল্টা চাপে ফেলে বাংলাদেশকে।

বেসিন রিজার্ভের পেসবান্ধব উইকেটে দারুণ ব্যাট করে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন কনওয়ে। ১০৯ বলে ১২৬ রান করেন তিনি। ১৭ চারে ইনিংসটি সাজান বাঁ হাতি এ ব্যাটসম্যান।

শুরুতে নিউজিল্যান্ডকে ভালোই চাপে রেখেছিলেন বোলাররা। দুটি জুটিতে নিজেদের পছন্দমতো জায়গায় দলের সংগ্রহ নিয়ে যান কিউই ব্যাটসম্যানরা। চতুর্থ উইকেটে টম ল্যাথামের সঙ্গে কনওয়ের ৭৩ বলে ৬৩ রানের জুটি। ৪০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ২১১ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হারের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল বাজে ফিল্ডিং। ‍গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ছেড়েছেন ফিল্ডাররা। মুশফিকুর রহিম কিপিং-গ্লাভস হাতে আজও ক্যাচ ছেড়েছেন হেনরি নিকোলসের। ‍শুরুর চাপ ধরে রাখতে পারেননি বোলাররা।

৯৮ রানে অপরাজিত থাকতে ইনিংসের শেষ বলটি খেলেন মিচেল। মিড উইকেটে বল পাঠিয়ে ২ রান চুরি করে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। মিচেল রান আউট হতেন যদি মুশফিক বলটি ধরে স্টাম্প ভাঙতে পারতেন। বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি তিনি। ২ ছক্কা ও ৯ চারে ৯২ বলে ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুর তুলে নেওয়া মিচেল।

শেষ ওভারে ২১ রান দেন মোস্তাফিজ। নিজের ১০ ওভারে ৮৭ রানে ১ উইকেট নেন তিনি। ভালো করতে পারেননি বাঁ হাতি এ পেসার। ৭০ রানে ৩ উইকেট নেন রুবেল। ১টি করে উইকেট তাসকিন ও সৌম্য সরকারের।

আগে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় নিউজিল্যান্ড। ৪৪ থেকে ৫৭, এই ১৪ রানের মধ্যে মার্টিন গাপটিল (২৬), হেনরি নিকোলস (১৮) ও রস টেলরকে (৭) তুলে নেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেন।

রুবেল নিজের পর পর দুই ওভারে তুলে নেন গাপটিল ও টেলরকে। নিকোলসের উইকেটটি নেন তাসকিন। কিন্তু এই চাপ পরে আর ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ।

 

সুত্রঃ যুগান্তর