সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে নতিস্বীকার করা যাবে না: ইলিয়াস কাঞ্চন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কারো চাপের মুখে নতিস্বীকার করে সড়ক পরিবহন আইনের বাস্তবায়ন আটকে রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

তিনি বলেছেন, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সময়োপযোগী সড়ক পরিবহন আইনের। সে দাবি আজ পূরণ হয়েছে। কিন্তু দুঃখের কথা, ১ নভেম্বর আইন প্রয়োগের শুরুর দিন থেকেই হোঁচট খেয়েছে। এ আইন বাস্তবায়নে কোনো চাপের কাজে নতিস্বীকার করা যাবে না।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিরাপদ সড়ক চাই’র ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আইন প্রয়োগ করে সড়কে চলমান সংকট উত্তরণে নতুন সড়ক পরিবহন আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদার এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নে গঠিত কমিটি যে ১১১টি সুপারিশ করেছে, তাতে এ আইন বাস্তবায়নের পথনির্দেশ রয়েছে। এতে পুরো সড়ক ব্যবস্থাপনা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে। যাতে কেউ আইন ভঙ্গ না করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার শঙ্কা অমূলক।

তিনি আরও বলেন, যারা অন্যায় করবেন, তাদেরই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পরিবহন মালিক হোক বা শ্রমিক হোক- কারো চাপের মুখে নতিস্বীকার করা যাবে না। আইনের বাস্তবায়ন আটকে রাখা যাবে না। মানুষকে জিম্মি করে, সরকারকে বিব্রত করে যদি কেউ এই আইন বাস্তবায়ন ঠেকানোর চেষ্টা করেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এটাই এখন আমাদের দাবি।

অনুষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চারজনকে সম্মাননা জানানো হয়।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ নূর নাহার ইয়াসমীন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বিপ্লব ভৌমিক।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নিরাপদ সড়ক চাই’র মহাসচিব সৈয়দ এহসান-উল হক কামাল, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সাদেক হোসেন বাবুল, নিরাপদ সড়ক চাই’র যুগ্ম-মহাসচিব লিটন এরশাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নিরাপদ সড়ক চাই’র নিয়মিত প্রকাশনা ‘নিরাপদ’র মোড়ক উন্মোচিত হয়।