পুঠিয়ায় ঘন্টার ব্যবধানে সড়কে ঝড়লো দুই শ্রমিকের প্রাণ, মামলা হয়নি একটিরও

পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক দুটি সড়ক দূর্ঘটনায় বাসের হেলপার রাসেল (২০) ও কুতুব আলী (৫৫) নামের দুই শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন । এ ব্যপারে একটি ট্রাক আটক হলেও দুটি ঘটনার একটিরও মামলা হয়নি।

হাইওয়ে পুলিশ বলছে, কেও বাদী না হওয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে ঢাকা রজশাহী  মহাসড়কের ঝলমলিয়া এলাকায় এবং এর প্রায় ১ ঘন্টা পরেই দুপুর ১ টার দিকে বানেশ্বর খুটিপাড়া পীরের ঢালান নামক এলাকায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। নিহত কুতুব আলী (৫৫) উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম জিউপাড়া গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। রাসেল আহম্মেদ (২০) নওগা নদীপুর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের রবিউলের ছেলে। সে বিআরটিসি হেলপার ছিলো।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়,  মৃত কুতুব আলী আখ বহনকারী মহিষের গাড়ি চালক ছিলেন। আখ নিয়ে ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে নাটোর গামী একটি পন্যবাহী ট্রাক তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তার মাথায় আঘাত লেগে কান দিয়ে রক্ত ঝড়ছিলো।

অপরদিকে রাজশাহীগামী বিআরটিসি বাসের হেলপার রাসেল বানেশ্বর খুটিপাড়া পীরের ঢালান নামক এলাকায় চলন্ত বাস থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। সে বাসের দরজার পাশে দাড়ানো ছিলো। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

পবা হাইওয়ে পুলিশ শিবপুর ফাঁড়ির (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ইনর্চাজ আল মাহমুদ বলেন, বেলা ১২ টার দিকে কুতুব আলী দুর্ঘটনার স্বীকার হলে আমরা তাকে উদ্ধারে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় বানেশ্বরের দুর্ঘটনাটি ঘটে। তারা তাৎক্ষণিক রাসেলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে যায়। শুনেছি সেখানে ছেলেটি মারা গেছে তবে এখন পর্যন্ত কেও যোগাযোগ করেনি। নিহত কুতুব আলীর পরিবারের লোকজনের আপত্তি থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। তবে ঘাতক ঘাতক ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো ই -১২-২৪৯৭) আটক করে ফাঁড়িতে আনা হয়েছে। বাদি না থাকায় দুটি ঘটনার একটির ও মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি।

স/অ