বাঘা প্রতিনিধি:
৭ মাসের শিশু ইব্রাহীম হোসেন রুজদীকে নিয়ে ফেরা হলো না বাবা মেজবাউল আলম মাসুম, মা রুনা খাতুন, দাদী মাহমুদা বেগম, চাচা জালাল উদ্দিনের। এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তারা ৬ জন নিহত হয়েছে। ফলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সরেরহাট গ্রাম এখন কান্নার রোল পড়েছে। লাশ এখনো বাড়ি পৌঁছেনি। গ্রামের হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষায় রয়েছে লাশের জন্য।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ভেড়ামারা পার-হাউজ যাত্রী ছাউনির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাঘা উপজেলার সরেরহাট গ্রামের সিএনজি চালক সুবির গাইনের ছেলে জালাল উদ্দিন (৪০), মেজবাউল আলম মাসুম (৩৫), তার স্ত্রী রুনা বেগম (২৬), ছেলে ইব্রাহীম হোসেন রুজবী (৭ মাস বয়স), মাসুমের মা মাহমুদা বেগম (৫৪) ও শাশুড়ি গিনি বেগম (৫২)।
জানা যায়, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সরেরহাট গ্রামের মেজবাউল আলম মাসুমের বোন মাহমুদা আক্তার জেমমিনের আগামী শুক্রবার বিয়ে। এদিকে স্ত্রী রুনা ও ৭ মাসের শিশু ছেলে ইব্রাহীম হোসেন রুজদীকে রেখে কিভাবে বোনের বিয়ে দিবে। পরিবাররের সম্মতিতে মেজবাউল আলম মাসুম তার মা মাহমুদা বেগমকে সাথে নিয়ে প্রতিবেশি চাচাত ভাই জালাল উদ্দিনের সিএনজি নিয়ে ঝিনাইদহে আনতে যায়। তারা দুপুরের খাবার শেষে শাশুড়ী গিনি বেগমকে সাথে নিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ভেড়মারা পারহাউজ যাত্রী ছাউনির সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগামী একটি ট্রাক সিএনজিটিকে চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলে সিএনজি চালক জালাল উদ্দিন ও রুনা বেগম মারা যান। এসময় রুনা বেগমের স্বামী মেজবাউল আলম মাসুম, ছেলে ইব্রাহীম হোসেন রুজবী, মা মাহমুদা বেগম, শাশুড়ি গিনি বেগম আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইব্রাহীম হোসেন রুজবীকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত মাহমুদা বেগম ও গিনি বেগমকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখারকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকেও মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে প্রেরণ করা হবে।
স/শা