স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও জেএমবি সদস্যের নেতৃত্বে জমি দখলের চেষ্টা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

 

বগুড়ার শাজাহানপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও জেএমবি সদস্যের নেতৃত্বে জমি দখল করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে একদল দূর্বৃত্ত। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে আবু তালেব (৪০) নামে এক ব্যক্তি শাজাহানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আবু তালেব উপজেলার খরনা ইউনিয়নের গয়নাকুড়ি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে।

আবু তালেব জানান, উপজেলার গয়নাকুড়ি মৌজার ১৭ শতক জমির মালিকানা নিয়ে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের বামুনীয়া কামারপাড়ার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে সিরাজুল হক (৫৫) গংদের সাথে দ্বন্দ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই জমিতে হালচাষ করছিলেন। এমতাবস্থায় প্রতিপক্ষ সিরাজুল ইসলামের ভাড়া করা আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নয়মাইল জামালপুর গ্রামের ইরফান আলীর ছেলে ফিরোজ আলম (৪০) ও জেএমবি সদস্য বামুনীয়া ফকিরপাড়ার আফসার আলীর ছেলে আবু তাহেরের (৩৯) নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জমি দখলের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এসময় বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার দিয়ে দৌড়ে গ্রামের গিয়ে এই ঘটনা গ্রামবাসীকে জানালে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করে গণধোলাই দিলে তারা পালিয়ে যান।

স্থানীয়রা জানান, ২০০৬ সালে উপজেলার বামুনীয় গ্রামে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দশ বছর কারাভোগ করেন জেএমবি সদস্য আবু তাহের। এছাড়াও ২০১৬ সালের ১৩ জুন বগুড়ায় ৩ জন জেএমবি সদস্য ও ৬ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাসহ একশত জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই ৩ জন জেএমবি সদস্যের মধ্যে আবু তাহের একজন।

স্থানীয়রা আরো জানান, জেএমবি সদস্য আবু তাহের এলাকায় জমি দখল, বিচার-সালিসের নামে জিম্মি করে টাকা আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাজেদুর রহমান শাহীনের নাম ভাঙিয়ে তিনি এলাকায় প্রভাববিস্তার করে রেখেছেন।

এ বিষয়ে আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফিরোজ আলম জানান, তিনি কোনো জমি দখল করতে যাননি। আর কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে তিনি জড়িত না। ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগে সভাপতি জিয়াউল হক জুয়েল জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো নেতাকর্মী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। সেদিক থেকে ফিরোজ আলম জমি দখলের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দীন জানান, অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

সূত্র: কালেরকন্ঠ