স্বার্থান্বেষী স্লোগানের চেয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির জীবনী পাঠ প্রয়োজন নেতাকর্মীদের

গতকাল ১৭ই মার্চ ছিল বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। বঙ্গবন্ধুর নামে দেশে স্লোগান দেওয়া মানুষের এখন কোন অভাব নেই। দুধের মাছি বসন্তের কোকিলে ভরা এ ফাগুন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, লক্ষ্য, স্বপ্ন, সংগ্রাম ও ত্যাগের মহিমায় বিশ্বাস রাখা চর্চা করা মানুষের বড়ই অভাব।

 

জন্মদিনকে সামনে রেখে চারিদিকে ঢাকঢোল, রঙিন উৎসব, কেক কাটা, ফেস্টুনে ফেস্টুনে অর্ধশিক্ষিত অশিক্ষিত নেতা নামধারী একদল ক্ষমতার রাজনীতির সুবিধাভোগীদের নতুন দোকানের আনাগোনা আমাদের কিন্তু সেটাই মনে করিয়ে দেয়। অথচ এদিনকে কেন্দ্র করে এসব লোক দেখানো, নেতাদের নিজেদের ঢোল পিটানো, কেক কাটা, ফেসবুক ছবিতে ভাসিয়ে ফেলার চেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনী, রাজনীতি, দীর্ঘ ত্যাগ, সংগ্রামের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে সুবিন্যস্ত ভাবে ছড়িয়ে দেয়া।

 

বাংলাদেশের স্বপ্ন, সম্ভাবনা, বিকাশ, অগ্রগতির পর্যালোচনা পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত জাতি রাষ্ট্র গঠনে আগামীর করণীয়, দিকনির্দেশনা ঠিক করা নিয়ে আলোচনা, দলীয় নেতাকর্মীদের আত্ম সমালোচনা, সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের মূল্যায়ন, আওয়ামীলীগ ও ইহার অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের দেশব্যাপী সাংগঠনিক কাঠামোর পর্যালোচনা, পরিমার্জন ও অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ। কিন্তু দু’একটা ব্যতিক্রম ছাড়া ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবসে গঠনমূলক কোন রাজনৈতিক উপাদান ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ পরিসরে ও কোন স্তরে খুঁজে পাওয়া গেল না।

ওয়ালিদ আহমেদ কমল
সাবেক সহ-সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।