স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর খুনির মসজিদে অবস্থান: নামাজ পড়তে পারেনি এলাকাবাসী

নাটোর প্রতিনিধি:
স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৩০) কে হত্যার পর সেই ছুরি নিয়ে মসজিদে অবস্থান করায় মাগরিব, এশা সহ তারাবির নামায আদায় করতে পারেনি মুসল্লিরা। পরে তিনঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে শফিকুল ইসলাম নামের ওই হত্যাকারীকে আটক করে পুলিশ। এমন ঘটনা ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রানী নগর দক্ষিন পাড়া গ্রামে।

শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় হত্যাকারী তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নিজের গোপনাঙ্গে আঘাত করায় বর্তমানে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক শফিকুল রানি গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে। ছয় বছর আগে উপজেলার বেড়গঙ্গরামপুরের দিনমুজুর মৃত জিকির প্রামাণিকের মেয়ে হাজেরার সাথে তার বিয়ে হয়। সে পেশায় একজন সুপারি ব্যবসায়ী।

পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানায়, শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শফিকুল নিজের বাড়িতেই তার স্ত্রী হাজেরা বেগমকে মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ বাড়ি থেকে রাস্তার দিকে দৌড় দিলে খুনি ধাওয়া দিয়ে মসজিদের কাছে প্রকাশ্যে তার স্ত্রীকে ছুড়ি দিয়ে এলাপাথারিভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।

এসময় এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তার ছুরির আঘাতে একই গ্রামের ওমর ফারুক, সাইফুল ইসলাম ও আশরাফ আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম আহত হয়। এসময় এলাকার লোকজন শফিকুলকে আটক করার চেষ্টা করলে  শফিকুল হত্যায় ব্যবহৃত ছুড়ি নিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মসজিদের দরজা জানালা বন্ধ করে ভিতরে অবস্থান নেয়। পরে রাত সাতটিকে পুলিশ এসে মসজিদটি ঘিরে রাখে। খুনি মসজিদে অবস্থান নেওয়ায় এলাকাবাসী মাগরিব, এশাসহ তারাবি নামায পড়তে পারেনি।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তারেক রহমান, তিন ঘন্টা চেষ্টার পর রাত সাড়ে ১০ টায় খুনিকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। সে তার গোপনাঙ্গ ছুড়ি দিয়ে আঘাত করায় তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পেরন করা হয়েছে।

হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করে নাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান সাখাওয়াত হোসেন লাবু বলেন, এর আগে ওই শফিকুল মসজিদের ভিতর ঢুকে চারজনকে কুপিয়ে যখম করেছিল। এঘটনায় জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সে তার স্ত্রীকে হত্যা করলো।

 

স/আ