সোনারগাঁয়ে অন্তিম শয়ানে লেজিসলেটিভ সচিব নরেন দাস

সোনারগাঁয়ের নয়াপুরে অন্তিম শয়ানে শায়িত হয়েছেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব নরেন দাস। মৃত্যুর পর তার মরদেহ দাহ না করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নয়াপুরে নিজস্ব ভূমিতে সমাধিস্থের ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন তিনি।

তার ইচ্ছা অনুযায়ী বুধবার (২২ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টার দিকে শেষকৃত্য অনুষ্ঠান শেষে অন্তিম শয়ানে শায়িত করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেষকৃত্য অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পক্ষে সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন শ্রদ্ধা নিবেদন করে। নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন ও সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালনকারী অতিরিক্ত সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব ও জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বিকাশ কুমার সাহা, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, কাজী আরিফুজ্জামান ও মো. জাকেরুল আবেদীন এবং আইনমন্ত্রীর একান্ত সচিব আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসানসহ আইন মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় প্রশাসন এবং সচিব নরেন দাসের স্ত্রী, কন্যা ও আত্মীয়-স্বজনরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নরেন দাসের মরদেহ গ্রহণ করেন তার স্ত্রী মিতালি রাণী দাস।

তিনি মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়ায় সচিব নরেন দাস স্ত্রীসহ গত ৫ জুলাই রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর ৭ জুলাই সেখানে তাদের করোনা পরীক্ষা করা হলে ফল পজিটিভ আসে। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার স্ত্রী সুস্থ হয়েছেন।