সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ন্যাটো জোটে মতপাথর্ক্য

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানের মাটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রদান করেছিলেন এ বছরের মাঝামঝিতে এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেনা প্রত্যাহার শুরুও হয়েছে। তালেবানদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মতপাথর্ক্য তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) ভেতরেই। আজ ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলেনবার্গ বলেন, তড়িঘড়ি করে সেনা প্রত্যাহারে বড় ধরনের মূল্য দিতে হতে পারে।

ন্যাটো মহাসচিব আরও বলেন, এ অঞ্চলের ভূমি ব্যবহার করে সন্ত্রসী কর্মকাণ্ড পরিকল্পনা করা এবং আমাদের মিত্র দেশে হামলা করার শঙ্ক এখনও রয়েছে। তবে তিনি জানান, আফগানিস্তানে যে ১২টি দেশের সেনা রয়েছে তারা প্রত্যেকেই নিজেদের প্রত্যাহার করে নিতে চাইছে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম দফা সেনা প্রত্যাহারের পর আগামী ১৫ জানুয়ারির আগে আরেক দফা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন। বর্তমানে এশিয়ায় আফগানিস্তান ও ইরাকে ন্যাটো জোটের সেনা মোতায়েন রয়েছে। দু দেশেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সেনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাগুলো বলছে, আফগানিস্তানে অবস্থান করা ৪ হাজার ও ইরাকে অবস্থান করা ৩ হাজার সেনা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হতে পারে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।

তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে কাতারের রাজধানী দোহায় বৈঠক চলমান রয়েছে কিন্তু সেখানে কোনো সমাধানসূত্র মিলছে না বলেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে আফগানিস্তানে পুনরায় সন্ত্রাসী আক্রমণ সংঘটিত হতে দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব কারণেই ন্যাটো মহাসচিব এমন মন্তব্য করলেন।

তবে ন্যাটো মহাসচিবের এমন উদ্বেগ থাকলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সম্ভবনা নেই বললেই চলে। কারণ, ন্যাটো সৈন্যরা পৃথিবীর যেখানেই থাকুক তারা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বিভিন্ন দিক দিয়ে নির্ভরশীল। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেই ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধকে আর সামনে এগিয়ে নিতে চাইছে না। নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তই বহাল রাখবেন বলে বিশ্লেষকদের অভিমত। সূত্র: ডয়েচেভেলে, আল জাজিরা।

 

সূত্র: কালেরকন্ঠ