সীমিত আয়োজনে প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেশের সর্বোস্তরের মানুষ। করোনা অতিমারির কারণে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে সীমিত করা হয়েছে এবারের আয়োজন। অন্য বছরগুলোতে প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হলেও এবার করোনা অতিমারির কারণে সশরীরে শহীদ মিনারে যাননি তাঁরা।

শহীদ দিবসের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ একুশের গানের আবহে তাঁদের পক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তাঁদের সামরিক সচিবরা।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদ, শাহাজাহান খান, মোফাজ্জল চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, হাসান মাহমুদসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।

পরে স্পিকারের পক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান সংসদ সচিবালয়ের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস কমডোর মিয়া মোহাম্মদ নাইম রহমান, ডেপুটি স্পিকারের পক্ষে সহকারী সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস গোলাম শাহরিয়ার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রী দিপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান, বিমান বাহিনীর প্রধান, চিফ হুইপের পক্ষে গোলাম সরোয়ার, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের পক্ষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।

রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে প্যানেল মেয়র, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মো. আমিন উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, সিনেট, সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন, র‍্যাব, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ কর্ম কমিশন, মানবাধিকার কমিশন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন।

এরপর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বসাধারণের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উন্মুক্ত করা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত ও জনসমাগম এড়াতে পূর্বঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রতিনিধি ও ব্যক্তি পর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ জন শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ