এদিন সকালে নগরের মীরের ময়দান ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিচ্ছেন নারী-পুরুষরা।
নগর এলাকার ৪২টি ওয়ার্ডের ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার এসব কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৪টি গোপন কক্ষে ভোট দেবেন। ভোটাররা নির্ধারণ করবেন সিসিকের আগামী ৫ বছরের নতুন পরিষদ, মেয়র-কাউন্সিলর।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ২ হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট নির্বাচনী মাঠে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এর বাইরেও ৪২টি ওয়ার্ডে একজন করে ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৭ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডে ১৯০টি কেন্দ্রে একজন করে ১৯০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৩ ৬৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ২ হাজার ৭৩৪ জন পুলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন। আর ১ হাজার ৭৪২টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোট কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব ক’টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সিলেটের পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার আ্বোন জানিয়ে বলেন, নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিসিক নির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রে ১৩২টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে। নির্বাচন শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পোশাকে-সাদা পোশাকে ২ হাজার ৬শ’ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি’র স্ট্রাইকিং ফোর্সের দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া ৪২টি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মোট ৭ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সহায়তায় দায়িত্ব পালনে রয়েছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম (বাবুল), জাকের পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা, মো. শাহ জাহান মিয়া, মো. ছালাহ উদ্দিন এবং মো. আবদুল হানিফ। এছাড়া ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।