সিরাজ হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ লোপাটে রেজিস্টারের পাতা উধাও

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নগরীর আবাসিক হোটেল আল হাসিবের কর্মচারীকে হত্যার পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য হোটেলের রেজিস্টার খাতার পাতা ছিড়ে নেয় হত্যাকারী। যেনো এই হত্যার আলামত হিসেবে কোন তথ্য না পাওয়া যায়। রেজিস্টার খাতার পাতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে হোটেলের ব্যবস্থাপক রিপন চৌধুরী সিল্কসিটিনিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সিরাজ এই হোটেলে প্রায় ১৭ বছর ধরে কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন। সকালে হোটেলে এসে কাউকে দেখতে না পেয়ে সিরাজকে ডাকতে যায়। আর এ সময় দেখি রেজিস্টারের পাতা ছেঁড়াসহ তার বিভিন্ন জিনিষপত্র তছনছ। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় খবর দেই পুলিশে। পরে পুলিশ এসে ওই কক্ষের দরজার তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।

এদিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) একএম নাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিরাজকে প্রথমে ফল কাটা চাকু (ছোড়া) দিয়ে ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণ করা হচ্ছে। তবে শ্বাসরোধের কারনেই তার মৃত্যূ হয়েছে। আর ঘটনাটি গভীর রাতেই ঘটেছে।

এর আগে শনিবার রাতের কোন এক সময় নগরীর সাহেবজারের গণকপাড়া এলাকার আল হাসিব নামের আবাসিক হোটেলের কর্মচারী, রাজশাহীর তানোরের চান্দুরিয়ার দেওতলা এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (৩৫) এর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি এই হোটেলের কর্মচারী ছিলেন। তবে হোটেল থেকে একটি রক্তাক্ত চাকু (ছোড়া) উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, শনিবার সকালে হোটেলের চতুর্থ তলার ৪০৩ নম্বর কক্ষের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় লাশটি পড়ে থাকতে দেখে কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয় । পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদেন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।  তবে লাশের বাম ঘাড়ে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

হোটেল বয় সাজু সিল্কসিটিনিউজকে জানায়, গত ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় চাঁপাইনব্বগঞ্জ থেকে এক লোক ব্যবসার কাজে এসেলেন বলে এই হোটেলে ওঠে। সেই সময় কর্মস্থলে ছিলো সিরাজ। এই হোটেল চারটি রুমের চারজন ছিলেন। তবে সকালে একজন পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে হোটেল আল হাসিবের ম্যানেজার মো. রিপন চৌধুরী সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, রুমের ভেতর থেকে আটকানো ছিলো। আমি সারা শব্দ না পেয়ে নিচের চায়ের দোকানের এক লোক ডেকে আনি। লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ আসে।

 

স/আ