শুক্রবার , ৫ জুলাই ২০২৪ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে পানিবন্দি ১২৭৬ পরিবার

Paris
জুলাই ৫, ২০২৪ ৩:২৭ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:
সিরাজগঞ্জ শহরের হার্ডপয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে যমুনার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া নদীর পানিও বেড়েছে।

এতে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ১ হাজার ২৭৬ পরিবার। প্লাবিত হয়েছে ৪০০ হেক্টরেরও বেশি ফসলি জমি। অপরদিকে নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে তীব্র ভাঙন চলছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের হার্ডপয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩৭ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ২৪ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যমুনায় পানি বেড়ে জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের শত শত পরিবার। তলিয়ে গেছে আবাদি জমি, রাস্তাঘাট ও বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যাকবলিত মানুষগুলো বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এদিকে শাহজাদপুরের হাটপাচিল ও কাজিপুরের খাসরাজবাড়িতে চলছে নদীভাঙন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ দুটি এলাকায় একশরও বেশি বাড়িঘর যমুনায় বিলীন হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরেই যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বেড়েছে। ইতোমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা ধীরগতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে। মাঝারি আকারের বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, জেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোয় জিওটিউব ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর জানান, বন্যার পানি উঠে জেলার ৪০৮ হেক্টর জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচ ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এখনও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, সর্বশেষ জেলার ৫টি উপজেলার ১ হাজার ২৭৬টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। ৫০০ মেট্রিক টন চাল আর ১০ লাখ টাকা মজুদ আছে। সময়মতো সেগুলো বিতরণ করা হবে।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর