নিজস্ব প্রতিবেদক,নাটোর:
নাটোরের সিংড়ায় এনজিও পরিচালিত স্কুলের ১০লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খন্দকার আল আমিন নামের এক পরিচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে পৌর শহরের পাড়াজয়নগর মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আল আমিন রেনেসাঁ সেভিংস এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এর শিক্ষা কর্মসূচী প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন। আল আমিন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চুয়াখালি গ্রামের খন্দকার লোকমান হোসেনের ছেলে।
সিংড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের সিল্কসিটি নিউজকে জানান, বিজ্ঞ আদালতে আসামী খন্দকার আল আমিনের বিরুদ্ধে ৪০৮ এবং ৪২০ ধারায় প্রতারনা মামলা দায়ের হয়। পরে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পৌর শহরের পাড়া জয়নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামী খন্দকার আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে দুপুরে আসামীকে আদালতে হাজির করা হবে।
মামলা সূত্র জানায়, সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক নিবন্ধিত রেনেসাঁ সেভিংস এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের এর শিক্ষা কর্মসূচী প্রকল্পের পরিচালক খন্দকার আল আমিন সংস্থাটির ৩৪টি স্কুল পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু বিভিন্ন সময় স্কুল পরিচালনার নামে সংস্থাটির প্রকল্প থেকে ১০লাখ ৩৭হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে আল আমিনের বিরুদ্ধে নাটোর আদালতে মামলা দায়ের করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু।
এর আগে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হলে শালিসী বৈঠকে গ্রেফতারকৃত আসামি আল আমিন টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করে।
পরে ওই বৈঠকেই গত ২৩ জুনের মধ্যে টাকা পরিশোধের অঙ্গিকার করেন। এ অবস্থায় আল আমিন আত্মসাতের আংশিক ৮৭হাজার টাকা সমমূল্যের অগ্রণী ব্যাংকের একটি চেক সংস্থার চেয়ারমান কে প্রদান করেন। পরবর্তীতে বাদী উক্ত চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। পরে আদালতের নির্দেশে শুক্রবার সিংড়া থানা মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে খন্দকার আল আমিন সিংড়া ব্র্যাক থেকেও বেশ কিছু টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে জানান সিংড়া ব্যাঞ্চের ম্যানেজার।
রেনেসাঁ সেভিংস এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু জানান, আসামী আল আমিন আমার সাথে প্রতারণা করে প্রকল্প থেকে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছে। এখন আমাকেই হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
সিংড়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন মন্ডল জানান, আসামীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর মামলা ছাড়াও থানায় তার বিরুদ্ধে আরো দু’টি সাধারণ ডায়েরী করেছে বাদী পক্ষ।
স/শ
