সিংড়ায় যুবলীগ কর্মীদের হামলায় আহত গ্রামবাসির পাশে উপজেলা আ’লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
নাটোরের সিংড়ায় যুবলীগ কর্মীদের হামলায় আহত আনোলিয়া গ্রামবাসির পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। সোমবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ আনোলিয়া গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীর কাছে দু:খ প্রকাশ করে আহতদের চিকিৎসার সকল খরচ বহনের ঘোষনা দেয়া হয়। এছাড়া যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।

এদিকে, আনোলিয়া গ্রামবাসীদের ওপর হামলার ঘটনায় ১৮জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী বাধন নামে এক যুবলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে সোমবার দুপুরে উপজেলার আনোলিয়া গ্রামে যান সিংড়া পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও প্রতিমন্ত্রী পলকের ব্যক্তিগত সহকারী রুহুল আমীন, শেরকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম সহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

এসময় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দর মধ্যে সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস আনোলিয়া গ্রামবাসীর উদ্দ্যেশে বলেন, প্রতিমন্ত্রী পলকের নির্দেশে তারা আনোলিয়া গ্রামে এসেছেন। যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহতদের সকল চিকিৎসার খরচ প্রতিমন্ত্রী বহন করবেন।

তিনি আরো বলেন, যুবলীগ নামধারী যত বড়ই সন্ত্রাসী হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রতিমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া যুবলীগ, ছাত্রলীগ নামধারী কোন সন্ত্রাসী যাতে কমিটিতে থাকতে না পারে, সে কারনে বহিস্কারের জন্য উপজেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার সত্যতা স্বীকার করে সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ১৭ থেকে ১৮জনের নামে আনোলিয়া গ্রামাবাসী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। ইতোমধ্যে মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী বাধন নামের এক যুবলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া অণ্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি অব্যাহত রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্ব বিরোধের জের ধরে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আনোলিয়া গ্রামবাসী ৫ থেকে ৬টি নমিসন নিয়ে উপজেলা সদরে আসছিল। এসময় খবর পেয়ে জলারবাতা এলাকায় যুবলীগ কর্মী স¤্রাট ও কাওছার হোসেনের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০জনের বাহিনী নসিমন গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠি দিয়ে গ্রামবাসীকে গণপিটুনী দেয়। এসময় অন্তত ২০জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে। ঘটনার পর পরই স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ গ্রামবাসীকে দেখতে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

স/অ