সিংড়ায় বিএনপি কর্মীকে হাতুড়ী পেটা, আহত ৫

সিংড়া প্রতিনিধি:
নাটোরে সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হাতুড়ী পেটা ও বেধরক মারপিটের অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার শেরকোল ও পুঠিমারী বাজারে পৃথক পৃথক ভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এছাড়াও খরমকুড়ি শাহাবাজপুর ও চামারী ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণা মাইক ভাংচুর করা হয়।

এবিষয়ে বুধবার সকালে সিংড়া সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর পৃথক পৃথক ৬টি লিখিত অভিযোগ করেছেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে সিংড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. মজিবুর রহমান মন্টু।

বিএনপির লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুঠিমারী বাজারের একটি চা স্টল থেকে ডেকে নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ইসলাম সেন্টু কে হাতুড়ী পেটা করা হয়। পরে প্রায় দুই ঘন্টা পর সিংড়া থেকে একটি এ্যাম্বুলেন্স গিয়ে তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এছাড়াও শেরকোল বাজারে বিএনপি কর্মী আলতাব হোসেন ও নীলচোরা গ্রামের বিএনপি কর্মী বাবুকে বেধরক মারপিট করা হয়। আর এসব ঘটনার নেতৃত্ব দেন শেরকোল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আরিফ ও সুজন।

অপরদিকে সুকাশ ইউনিয়নের সুকাশ বাজারে সন্ধ্যা ৭টায় আ’লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য মাহাবুর এর নেতৃত্বে বিএনপি কর্মী মিলন ও মখলেছ কে বেধরক মারপিট ও দোকান ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও শেরকোল ইউনিয়নের খরমকুড়ি শাহাবাজপুর ও চামারী ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণা মাইক ভাংচুর করে আ’লীগ কর্মীরা। মাইকের ব্যাটারী ও মেমোরী কার্ড ছিনিয়ে নেয়া হয়।

এবিষয়ে যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলামকে একাধিক বার মোবাইল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


বিএনপি প্রার্থী দাউদার মাহমুদ বলেন, আ’লীগ তাদের নিশ্চিত পরাজয় দেখে দুই দিনে তার প্রায় অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীকে মারপিট করে আহত করেছে। বিশেষ করে উপজেলার শেরকোল, সুকাশ, তাজপুর ও চৌগ্রাম ইউনিয়নে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর বেশী হামলা ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে। গভীর রাতে বিএনপি কর্মীদের দেয়া হচ্ছে হুমকি-ধামকি। আর এসব বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর একাধিক অভিযোগ করেও কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। আর এর জন্য সিংড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

স/অ