সামরিক শক্তি বাড়াবে উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সামরিক শক্তি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম জানায়, ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেসে বক্তৃতা দেওয়ার সময় কিম জং উন এই ঘোষণা করেন।

তিনি জানিয়েছেন, দেশের সুরক্ষা বৃদ্ধির জন্যই এ কাজ করা প্রয়োজন। দ্রুত সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। সাধারণত পাঁচ বছরে একবার দেশটির ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই অনুষ্ঠানে আগামী পাঁচ বছরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তবে উত্তর কোরিয়ায় শেষবার তা হয়েছিল ২০১৬ সালে। যেটা ছিল দেশটিতে ৩৫ বছর পর হওয়া কোনো কংগ্রেস।

এ বছর আচমকাই কংগ্রেসের কথা ঘোষণা করেন কিম। সেখানে এই প্রথম সামরিক পোশাকে তাকে বক্তৃতা দিতে দেখা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, আমেরিকায় নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেওয়ার আগে তাদের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন কিম। সে কারণেই সামরিক শক্তি বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন।

তবে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির এ পরিকল্পনায় পরমাণু অস্ত্রের বিষয়টিও আছে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বস্তুত, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে কিমের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। পরমাণু অস্ত্র নিয়েও তাদের মধ্যে কথা হয়েছিল। যদিও সেই আলোচনা খুব বেশি দূর গড়ায়নি। তবে ট্রাম্পের আমলে কিমও খুব বেশি পরমাণু অস্ত্রের কথা তোলেননি। নতুন প্রেসিডেন্ট আসার মুখে ফের সেই বিষয়টিকে কিম উসকে দিতে চাইছেন বলে কোনো কোনো মহল মনে করছে।

দুই দিন আগে ওই কংগ্রেসেই দেশের অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন কিম। স্বীকার করেছিলেন, অর্থনীতি নিয়ে তিনি যা ভেবেছিলেন, বাস্তবে তা হয়নি। দেশ যে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়েছে, তা মেনে নিয়েছিলেন তিনি। তবে আগামী দিনে সেই ভুল শুধরে নিয়ে কীভাবে কাজ করতে হবে, সে বিষয়েও দীর্ঘ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ