সাভারে স্কুলছাত্রী নীলা হত্যা: প্রধান আসামির বাবা-মা গ্রেপ্তার

রাজধানীর অদূরে সাভারে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী নীলা রায় (১৪) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমানের (২০) বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪, সিপিসি-২ ক্যাম্পের সদস্যরা। এ হত্যা মামলায় মিজনুরের বাবা-মাও আসামি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চারিগ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আবদুর রহমান (৬০) ও নাজমুন্নাহার সিদ্দিকা (৫৫)। তবে মামলার মূল আসামি মিজানুরকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে গত মঙ্গলবার রাতে মানিকগঞ্জের আরিচাঘাট থেকে মিজানুরের সহযোগী সেলিম পালোয়ান নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। মিজানুরের পাশের বাসায় বসবাসরত সেলিম হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বলে পুলিশের ধারণা। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া সেলিমকে দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মিজানুরের বাবা আবদুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে তাদের সাভার থানায় হস্তান্তর করেছে র‍্যাব। এদেরকে নীলা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।

এ ঘটনায় নীলার বাবা নারায়ণ রায় সোমবার রাতে সাভার থানায় মিজানুর, তার বাবা আবদুর রহমান, মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। মিজানুর এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

নাজমুন নাহার সিদ্দিকী ও আবদুর রহমান সাভার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের এ- ৭৪/২ ব্যাংক কলোনির  সাইদুল আলমের বাসায় ভাড়ায় বসবাস করতেন। চাঞ্চল্যকর এ মামলার মিজানুরের বাবা-মা ২ ও ৩ নম্বর আসামি। বখাটের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্রী নীলা রায় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও মূল আসামি মিজানুর রহমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার সকাল ১১টায় সাভার উপজেলা পরিষদের সামনে সাভার নাগরিক কমিটিসহ ২৬টি সংগঠন সম্মিলিতভাবে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, অভিযোগ রয়েছে, গত রবিবার রাত ৮টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে রিকশায় করে হাসপাতালে যাওয়ার পথে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া নীলাকে ছিনিয়ে নিয়ে পালপাড়া মহল্লার একটি পরিত্যাক্ত পাড়িতে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাহত হরে হত্যা করে মিজানুর। নীলার পরিবারের দাবি, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নীলাকে হত্যা করে মিজানুর। সে স্থানীয় একটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ