সাপাহার প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর সাপাহারে গ্রামাঞ্চলে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি ও দারিদ্র দুরিকরণে মুষ্টির চাল সংগ্রহ করে সার্কেলের মাধ্যমে তৈরী ফুড ব্যাংক এখন মঙ্গা মোকাবেলা সহ নারীদের অহংকারে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, বে-সরকারী সংগঠন বিডিও, বিএসডিও এবং একশনএইড এর সহায়তায় নওগাঁ সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা গ্রামে ২০১৩ সালে রিপ্লেকশন একশন নামে একটি সার্কেল গঠন করে। তাদের পরামর্শক্রমে সার্কেলে ওই গ্রামের ২৫ জন হত দরিদ্র পরিবারের মহিলা সদস্য ভর্তি করে এলাকায় অভাবকালীন সময়ে সার্কেলের মাধ্যমে আগাম শ্রম বিক্রি বন্ধ, বাঁকিতে শ্রম বিক্রি ও বিভিন্ন ঋণ প্রদানকারী সংস্থার ঋণগ্রহন মোকাবিলা করার জন্য একটি কমিউনিটি ফুড ব্যাংক চালু করে।
২০১৩ সাল থেকে প্রতি সদস্য মুষ্টির চাল সংগ্রহ করে সপ্তাহে ১ কেজি করে চাল জমা করতে থাকে, পাশাপাশী ধানের মৌসুমে ধান জমা করার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে একটু একটু করে পুঁজি বাড়াতে থাকে। সার্কেলে সদস্যদের খাদ্য শস্য জমা রাখার জন্য ক্লাইমেট প্রকল্প থেকে ২টি ফুড ড্রাম প্রতিটি-৩শ’২০কেজি করে ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ২টি পাত্র সরবরাহ করা হয়। তদের সঞ্চিত অর্থ কার্যনির্বাহী কমিটির অর্থসম্পাদকের নিকট জমা রাখা হয়। এর পর সার্কেলের হিসাব-নিকাশ স্বচ্ছ রাখার জন্য সার্কেল সভাপতি, সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে সাপাহার অগ্রণী ব্যাংক শাখায় একটি হিসাব খোলা হয়। বর্তমানে ওই সার্কেলে গরু মোটাতাজা করণে ৮টি প্রকল্প চলছে।
এক সময়ের হত দরিদ্র পরিবারের মহিলারা এখন বেশ স্বাচ্ছন্দে তাদের জীবন যাপন করছে। সার্কেলের পরামর্শে উপজেলার এই প্রকল্প এলাকায় এখন ১৬টি ফুড ব্যাংকে ৪শ’৫জন সদস্যদের মুষ্টির চালে ৪ হাজার ৮শ’ সাতানব্বই কেজি চাল ও ১লক্ষ ৮৮ হাজার ১৮০টাকা জমা হয়েছে। ফুড ব্যাংকগুলির জমাকৃত অর্থ দিয়ে আরোও গবাদি পশু পালনের উদ্যোগ নিলে ভবিষ্যতে গ্রামে নারীদের মাঝে অনেক কর্মসংস্থানের পথ তৈরী হবে।
নারীরাও হাতে টাকা গুনতে পারবে। আর নারীরা আয় করতে পারলে পরিবারে নারীদের মর্যাদা অনেকাংশে বেড়ে যাবে। মধ্যকলমুডাঙ্গা আরএসি সভাপতি মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘‘যদি গ্রাম এলাকার নারীরা সচেতন হয় তাহলে দারিদ্রের মধ্যে বসবাসকারী পরিবার গুলো আলোচিত ফুড ব্যাংকের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে’’এবং যে কোন মঙ্গা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।
স/শ