রবিবার , ২৪ জুন ২০১৮ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সম্পর্কের টানাপড়েন! দিল্লিতে মেজরপত্নী খুন, গ্রেফতার আর এক সেনাকর্তা

নিউজ ডেস্ক
জুন ২৪, ২০১৮ ১০:২১ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

দু’মাস আগেই পরিচয়। আর তারপরই মেজরের স্ত্রীকে খুন! কিন্তু কেন? মেজরের স্ত্রীকে খুনে অন্য এক মেজরের স্ত্রীকে গ্রেফতারের পর আপাতত এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে দিল্লি পুলিশ।

শনিবারই দিল্লির রাজপথে উদ্ধার হয় মেজর অমিত দ্বিবেদীর স্ত্রী শৈলজা দ্বিবেদীর গলাকাটা মৃতদেহ। সেই খুনেই রবিবার গ্রেফতার করা হয় সেনাবাহিনীরই আরেক মেজরকে। রবিবার উত্তরপ্রদেশের মেরঠ থেকে নিখিল হান্ডা নামে ওই সেনা অফিসারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের অনুমান, সম্পর্কের টানাপড়েনেই মেজর-পত্নী শৈলজাকে খুন করেছে অভিযুক্ত।

মেজর নিখিল হান্ডা বর্তমানে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে কর্মরত। মাস দু’য়েক আগে সেখানেই শৈলজার সঙ্গে পরিচয় হয় নিখিলের। সেই সময় শৈলজার স্বামী মেজর অমিত দ্বিবেদীও ডিমাপুরেই কর্মরত ছিলেন। দুই মেজর একসঙ্গেই কাজ করছলেন। সেই সূত্রে পারিবারিক সম্পর্কও তৈরি হয়। কিন্তু মাস দু’য়েক আগেই মেজর অমিত দ্বিবেদী দিল্লিতে বদলি হয়ে চলে আসেন। আর তারপরই শনিবার উদ্ধার হয় মেজরের স্ত্রীর দেহ।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারই দিল্লিতে আসে মেজর নিখিল। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় শৈলজার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে নিজের গাড়িতে নিয়ে যায় নিখিল। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই শৈলজার দেহ মেলে রাস্তার উপর। খুনকে দুর্ঘটনা বলে চালাতে গলার নলি কাটা অবস্থায় শৈলজার মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় নিখিল।

ঘটনার তদন্তে নেমে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ বুঝতে পারে, খুনের সঙ্গে মৃতার পরিচিত কেউ জড়িত। সেই অনুযায়ী তদন্ত শুরু করে। তদন্তকারী অফিসারদের একটি সূত্র শনিবারই জানিয়েছিল, প্রাথমিক ভাবে এক জন সেনা অফিসারকে তাঁরা সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন। এরপর রবিবারই মেরঠে গিয়ে অভিযুক্ত নিখিল হান্ডাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে আনা হয়েছে।

কিন্তু কী কারণে খুন? তবে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল? সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারী অফিসাররা। তবে পেশাগত শত্রুতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।

শনিবার সকালে ফিজিওথেরাপি করাতে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সেনা হাসপাতালে গিয়েছিলেন বছর তিরিশের শৈলজা। সেনার গাড়ির চালক তাঁকে হাসপাতালে নামিয়ে দিয়ে আসেন। আধঘণ্টা পর চালক তাঁকে আনতে গেলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, শৈলজা এদিন ফিজিওথেরাপিই করাননি। তার আধঘণ্টা পরই রাস্তায় তাঁর গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর

আপনার জন্য নির্বাচিত