সাপাহারে প্রতিবন্ধী আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন আটক 


সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর সাপাহারে বাক-প্রতিবন্ধী এক আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রবিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের অভিযোগে মফিজুল হক মফিকে নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  এর আগে ধর্ষণের অভিযোগ ওই বিকালে গ্রেপ্তারকৃতের নামে ভুক্তভোগীর স্বামী বাদি হয়ে সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  অভিযুক্ত মফিজুল সাপাহার উপজেলার আইহাই দিঘীপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন এর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শুকরইল আদিবাসী পাড়ার জৈনক নিতাই মোশাহার এর স্ত্রী (৩০) প্রতিদিনের ন্যায় গত শনিবারে গ্রামের অদুরে রতনডাঙ্গা মাঠে একটি আম বাগানে গরুর জন্য ঘাঁস কাটতে যায়। এসময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফাঁকা মাঠে একা পেয়ে পাশ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা মফিজুল (৫১) ওই বাক প্রতিবন্ধী (বোবা) মেয়েকে পাটের শাক দেবার ইশারায় কাছে ডাকে। তার ইশারায় মেয়েটি সরল বিশ্বাসে তার নিকট এলে সে তাকে একা পেয়ে ঝাঁপটে ধরে একটি ড্রেনে ফেলে দিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

এসময় মেয়েটি বাড়িতে এসে পরিবারকে ইশারায় বোঝানোর চেষ্টা করে। ঘটনাচক্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই সময় ভুক্তভোগীর বাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা পার হয়ে যাওয়ার সময় ভুক্তভোগী তাকে দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে এবং ইশারায় তাকে ধর্ষণের কথাটি গ্রামবাসীকে জানালে ও্রই ব্যক্তি দ্রুত চলে যায়।

এবিষয়ে সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন যে, বোবা মেয়েটির ইশারা অনুযায়ী ওই ব্যক্তিই তাকে ধর্ষন করেছে বলে প্রতিয়মান হয়। তাদের দেয়া এজাহার মতে অভিযুক্ত মফিজুল হক মফির বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে (০৩) ৯ (১) ৩০ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করে সোমবার সকালে অভিযুক্তকে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এএইচ/এস