সাপাহারে ঘর থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

সাপাহার প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে ভাড়া বাসার শয়ন ঘর থেকে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধুর স্বামী পলাতক থাকায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাষ্টার পাড়ার মোতাহার হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়ি হতে পুলিশ গৃহবধুর লাশটি উদ্ধার করে।

জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলার দোগাছি গ্রামের ফারুক হোসেন (২৫) নামের এক লোক বেশ কয়েক বছর ধরে সাপাহার উপজেলা সদরে বিভিন্ন বাসায় ভাড়া থাকেন। কখনও চারা গাছ, কখনও বাগানের কাজ, আবার বিভিন্ন সময়ে রাস্তায় আম, আনারস, লিচু এসবের ব্যবসা করতেন। প্রায় দেড় বছর পূর্বে তিনি তার গ্রামের বাসায় স্ত্রী-ছেলে রেখে সাপাহারে চলে আসেন। সেখানে উপজেলা সদরের লালমাটিয়া পাড়ায় জৈনক ফারুক হোসেন এর মেয়ে জোৎসনা খাতুন (১৬) এর সাথে প্রেমের জালে ফেলে তাকে বিয়ে করেন। এরপর বিভিন্ন বাসায় ভাড়া থাকা অবস্থায় প্রায় মাস দু’য়েক পূর্বে তিনি মাস্টার পাড়ার ওই বাসায় নতুন ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন। এলাকাবাসী জানান, ভাড়ার প্রথম দিন হতেই ওই লোক তার স্ত্রী জোৎসনাকে বাসার মধ্যে রেখে বাহিরের দরজায় তালা বন্ধ করে রাখতেন। দুই মাসের মধ্যে একদিনও তার স্ত্রী ওই বাসা হতে বের হয়নি। ঘটনার দিন রাতে ভাড়াটিয়া ফারুক অজ্ঞাত স্থান হতে বাসার মালিক মোতাহার হোসেনকে ফোনে জানিয়ে দেয় যে, তার বাসার ঘরের মধ্যে তার স্ত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

সংবাদ পেয়ে বাসার মালিক পুলিশকে সাথে নিয়ে ওই বাসায় গিয়ে বাসার দরজার তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঘরের মেঝেতে মেয়েটির লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পায় তারা। এরপর পুলিশ ওই ঘর হতে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। ঘটনার পর হতে জোৎসনার স্বামী ফারুক হোসেন পলাতক রয়েছেন। পলাতক থাকায় স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়েছেন ফারুক বলে অনেকেই ধারণা করছেন।

তবে পুলিশের বলছে, এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই বুঝা যাবে। এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই নিউটন জানান, প্রাথমিকভাবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নওগাঁ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

স/শা