সাকার স্ত্রী-পুত্র খালাস, ৫ জনের সাজ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলায় তার আইনজীবীসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। খালাস দেওয়া হয়েছে সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাদ কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম শামসুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

 

রায় ফাঁসের মামলায় সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলামকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, ১ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের সহকারী আইনজীবী মেহেদী হাসান, ম্যানেজার একেএম মাহাবুবুল আহসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলীকে সাত বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেনে আদালত।

 

গত ৪ আগস্ট আসামিদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ১৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ২৮ আগস্ট রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়। একই কারণে ওই দিনেও পিছিয়ে রায় ঘোষণার জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়। মামলার বিচারকাজ চলাকালে ২৫ জন সাক্ষির মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

 

রায় ফাঁসের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অস্থায়ী কর্মচারী নয়ন আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দিতে ব্যারিস্টার ফখরুল ও ওই ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী ফারুক আহমেদ জড়িত বলে উল্লেখ করেন।

 

ওই স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তার চেম্বার থেকে গ্রেপ্তার হন ব্যারিস্টার ফখরুল। এরপর ২৪ নভেম্বর তার জামিন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। যদিও পরে ওই রিমান্ড বাতিল করেন হাইকোর্ট।

 

রায় ঘোষণার আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান।

সূত্র: রাইজিংবিডি